Listening to music: আপনি কি জানেন, আপনার পছন্দের গান শুনলে শুধু মন ভালোই হয় না, শারীরিক স্বাস্থ্যও ভালো থাকে? গান শোনার উপকারিতা নিয়ে বিজ্ঞানীরা অনেক গবেষণা করেছেন এবং তাদের ফলাফল অবাক করা।
গান শোনার উপকারিতা কী কী?
- উদ্বেগ কমায়: গানের সুর মস্তিষ্কের হাইপোথ্যালামাসকে উদ্দীপিত করে, যা স্ট্রেস হরমোন কর্টিসলের ক্ষরণ কমিয়ে দেয়। ফলে উদ্বেগ ও মানসিক চাপ কমে।
- রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে: গান শুনলে হৃদস্পন্দন ও রক্তচাপ কমতে পারে। দীর্ঘমেয়াদে এটি হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
- অনিদ্রা দূর করে: ঘুমের আগে হালকা সুরের গান শুনলে ঘুম ভাল আসে এবং রাতে ঘুম ভাঙার সমস্যা কম হয়।
- ব্যথা কমায়: গান শুনলে শরীরে এন্ডোরফিন হরমোন নিঃসৃত হয়, যা প্রাকৃতিক ব্যথানাশক হিসেবে কাজ করে। বিশেষ করে বাতের ব্যথায় ভোগা রোগীদের জন্য গান শোনা উপকারী।
- স্মৃতিশক্তি বাড়ায়: গান শুনলে মস্তিষ্কের বিভিন্ন অংশ সক্রিয় হয়, যা স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।
- একাকীত্ব দূর করে: একাকীত্ব বোধ হলে গান শুনলে মন ভালো থাকে এবং সামাজিক যোগাযোগ বাড়াতে সাহায্য করে।
কেন গান শোনা এত উপকারী?
গান শোনার সময় মস্তিষ্কের ডোপামিন নামক এক ধরনের রাসায়নিক পদার্থ নিঃসৃত হয়, যা সুখ ও আনন্দ দেয়। এছাড়া, গান শোনা একটি সামাজিক কার্যকলাপ, যা মানুষকে অন্যের সাথে যুক্ত করে এবং একাকীত্ব দূর করে।
কীভাবে গান শুনবেন?
- পছন্দের গান: আপনার পছন্দের গান শুনুন, যাতে আপনি আরাম পান।
- নিয়মিত: প্রতিদিন কিছুক্ষণ গান শুনুন।
- শান্ত পরিবেশ: কোনো শান্ত পরিবেশে গান শুনুন, যাতে আপনি সম্পূর্ণ মনোযোগ দিতে পারেন।
- বিভিন্ন ধরনের গান: বিভিন্ন ধরনের গান শুনুন, যাতে আপনার মস্তিষ্ক নতুন কিছু শিখতে পারে।
গান শোনা শুধু মনোরঞ্জন নয়, এটি আপনার শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের জন্যও খুব উপকারী। তাই আজই থেকে গান শুনার অভ্যাস করুন এবং দেখুন কেমন ভালো লাগে!
আরো পড়ুন: কারিপাতা: রান্নাঘরের জাদুকরী পাতা!