Infinity calendar: সিউড়ার তরুণ প্রতিভা আত্রেয় ঘোষালের আবিষ্কারে তোলপাড় হয়ে উঠেছে পুরো অঞ্চল। গণিতে তার অগাধ জ্ঞানের প্রমাণ স্বরূপ তিনি তৈরি করেছেন অসাধারণ একটি ক্যালেন্ডার, যেখানে শুধুমাত্র চলতি বছর নয়, যে কোনো বছরের দিন ও তারিখ সহজেই খুঁজে পাওয়া যাবে। এই ‘ইনফিনিটি ক্যালেন্ডার’ ইতিমধ্যেই পেটেন্ট হয়ে গিয়েছে, যা কাগজের অপচয় রোধে এবং পরিবেশ সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
ছোটবেলা থেকেই গণিতে তার বিশেষ আগ্রহ ছিল। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্তরে বিভিন্ন পুরস্কার জিতে নিয়ে ইতিমধ্যেই তিনি নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করেছেন। জয়পুরের মণিপাল বিশ্ববিদ্যালয়ে বিএসসি পড়ার সময় কলেজের একটি প্রজেক্টের জন্য এই ক্যালেন্ডার তৈরির ধারণা তার মনে জাগে। লাগাতার ৭ দিনের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে তিনি এই অসাধারণ ক্যালেন্ডার তৈরি করতে সক্ষম হন।
কেন এই আবিষ্কার গুরুত্বপূর্ণ? (Infinity calendar)
প্রতিবছর ক্যালেন্ডার তৈরির জন্য বিপুল পরিমাণ কাগজ ব্যবহার হয়, যা পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর। আত্রেয়ের এই আবিষ্কার কাগজের অপচয় রোধে সাহায্য করবে এবং পরিবেশ সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
কীভাবে কাজ করে ক্যালেন্ডারটি?
আত্রেয় জানান, বিভিন্ন বছরের ক্যালেন্ডারের পুনরাবৃত্তি কীভাবে হয়, সেই প্যাটার্ন আয়ত্ত করে এবং বেশ কিছু গবেষণার পর তিনি এই ক্যালেন্ডার তৈরি করেন। তার এই কাজে তাকে সাহায্য করেছেন তার কলেজ কর্তৃপক্ষ এবং দাদা।
ভবিষ্যতের পরিকল্পনা (Infinity calendar):
আপাতত কার্ডবোর্ড দিয়ে তৈরি হলেও, ভবিষ্যতে আরও মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য প্লাস্টিক বা অন্য কোনো উপাদান দিয়ে এই ক্যালেন্ডার তৈরি করার পরিকল্পনা রয়েছে আত্রেয়ের।
মায়ের গর্ব:
আত্রেয়ের মা শ্যামলী ঘোষাল ছেলের এই অসাধারণ সাফল্যে গর্বিত। তিনি জানান, ছোটবেলা থেকেই ছেলের গণিতের প্রতি গভীর আগ্রহ ছিল এবং সে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে গবেষণা করতে ভালোবাসে।
আত্রেয়ের ভবিষ্যত: আশা করা যায়, আত্রেয় ভবিষ্যতে আরও অনেক নতুন আবিষ্কার করে দেশের গর্ব বৃদ্ধি করবে।
এই তরুণ প্রতিভার সাফল্য সকলের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে উঠবে।
আরও পড়ুন: চকলেটের মায়ায় হারিয়ে যাচ্ছি আমরা: স্বাস্থ্য সচেতনতা কেন জরুরি?
[…] […]