There are no days left to watch the live video of the moon!: চাঁদে মানুষের যাত্রা নিয়ে পুরো বিশ্ব উন্মত্ত। নাসার আর্টেমিস মিশন এই মুহূর্তে সবার দৃষ্টি কেন্দ্রে। আর এবার নাসা এক অভিনব সাফল্য অর্জন করেছে যা চাঁদের লাইভ ভিডিও দেখার স্বপ্নকে আরও এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে গেল।
আমরা সকলেই জানি, মহাকাশে তথ্য আদান-প্রদান করতে রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি ব্যবহার করা হয়। কিন্তু নাসা এবার সেই সীমাবদ্ধতা ভেঙে লেজার কমিউনিকেশন ব্যবহার করে এক বিমান থেকে আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে ৪কে উচ্চমানের ভিডিও পাঠিয়েছে এবং আবার ফিরিয়ে এনেছে। এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে মহাকাশে তথ্য আদান-প্রদানের গতি ১০ থেকে ১০০ গুণ বেড়ে যায়।
কেন এটি এত গুরুত্বপূর্ণ?
- চাঁদের লাইভ ভিডিও: চাঁদে মানুষ পাঠানোর পরে আমরা সকলেই চাই চাঁদের মাটিতে নভোচারীদের প্রথম পদচিহ্ন, চাঁদের আকাশ, চাঁদের পাথর, সবকিছু লাইভ দেখতে। এই নতুন প্রযুক্তির সাহায্যে এটি সম্ভব হবে।
- উচ্চমানের ভিডিও: রেডিও ফ্রিকোয়েন্সির তুলনায় লেজার কমিউনিকেশন ব্যবহার করে পাঠানো ভিডিওর মান অনেক উন্নত হবে। ফলে আমরা চাঁদের খুবই পরিষ্কার এবং বিস্তারিত ছবি দেখতে পাব।
- দ্রুত তথ্য আদান-প্রদান: মহাকাশে তথ্য আদান-প্রদানের গতি বেড়ে যাওয়ায় নভোচারীরা আরও দ্রুত পৃথিবীর সাথে যোগাযোগ করতে পারবেন এবং বিজ্ঞানীরা আরও দ্রুত তথ্য বিশ্লেষণ করতে পারবেন।
ভবিষ্যতের জন্য কী আশা করা যায়?
এই নতুন প্রযুক্তির সাহায্যে মহাকাশ গবেষণায় এক নতুন যুগের সূচনা হতে চলেছে। ভবিষ্যতে আমরা মঙ্গল গ্রহে, অন্যান্য গ্রহে বা এমনকি অন্যান্য নক্ষত্রে পাঠানো মহাকাশযান থেকেও লাইভ ভিডিও দেখতে পারব। এই প্রযুক্তি মহাকাশ পর্যটনকেও আরও জনপ্রিয় করে তুলতে পারে।
নাসার এই অভিনব সাফল্য মহাকাশ গবেষণার ইতিহাসে একটি মাইলফলক। এটি আমাদেরকে মহাকাশের আরও কাছে নিয়ে যাবে এবং আমাদের মহাবিশ্ব সম্পর্কে আমাদের জ্ঞানকে আরও সমৃদ্ধ করবে।
আরও পড়ুন: হুগলির ‘ক্যারাটে কিড’ আরাত্রিকা চক্রবর্তী: ৭ বছর বয়সে এশিয়া বুক অফ রেকর্ডে নাম!