Insomnia is a common sleep disorder: ইনসোমনিয়া একটি ঘুমের ব্যাঘাত যাতে রাতে ঘুমাতে সমস্যা হয়। এর ফলে সারাদিন ক্লান্তি, মনোযোগে সমস্যা, কাজে অমনোযোগিতা, মেজাজ খিটখিটে ইত্যাদি সমস্যা দেখা দিতে পারে।
ইনসোমনিয়া (Insomnia) প্রধানত দুই ধরনের:
- অস্থায়ী ইনসোমনিয়া:এটি সাধারণত কয়েক দিন বা কয়েক সপ্তাহের জন্য হয়। এর কারণ হতে পারে মানসিক চাপ, উদ্বেগ, ভয়, দুঃখ, শারীরিক অসুস্থতা, ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ইত্যাদি।
- দীর্ঘস্থায়ী ইনসোমনিয়া:এটি তিন মাস বা তার বেশি সময় ধরে স্থায়ী হয়। এর কারণ হতে পারে মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা, শারীরিক অসুস্থতা, কিছু ওষুধ, ঘুমের অভ্যাসের পরিবর্তন ইত্যাদি।
ইনসোমনিয়া হলে রাতে ঘুমাতে অসুবিধা হয়। ঘুমাতে যাওয়ার পরে ঘুম ভাঙতে পারে, ঘুমে সমস্যা হয়, ঘুমের মধ্যে ঘুম থেকে ওঠার পর ঘুমাতে আবার অসুবিধা হয়। এছাড়াও, সারাদিন হাই উঠতে পারে, কাজে মনোযোগ দিতে সমস্যা হয়, মেজাজ খিটখিটে থাকে ইত্যাদি সমস্যা দেখা দিতে পারে।
ইনসোমনিয়া প্রতিরোধের জন্য নিম্নলিখিত বিষয়গুলিতে সচেতন থাকুন:
- নিয়মিত ঘুমের অভ্যাস গড়ে তুলুন।প্রতিদিন একই সময়ে ঘুমাতে যান এবং একই সময়ে উঠুন।
- ঘুমাতে যাওয়ার আগে ক্যাফেইন এবং অ্যালকোহল পান করা এড়িয়ে চলুন।
- ঘুমাতে যাওয়ার আগে কঠিন কাজ করা এড়িয়ে চলুন।
- ঘুমাতে যাওয়ার আগে হালকা ব্যায়াম করুন।
- ঘুমাতে যাওয়ার আগে শান্ত পরিবেশ তৈরি করুন।
ইনসোমনিয়া হলে নিম্নলিখিত বিষয়গুলি চেষ্টা করে দেখতে পারেন:
- ঘুমাতে যাওয়ার আগে হালকা গরম দুধ পান করুন।
- ঘুমাতে যাওয়ার আগে গোসল করুন।
- ঘুমাতে যাওয়ার আগে কৌশলগতভাবে শ্বাস নিন।
- ঘুমাতে যাওয়ার আগে ধ্যান বা যোগব্যায়াম করুন।
ইনসোমনিয়া যদি তিন মাসের বেশি স্থায়ী হয় তবে একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন। ডাক্তার আপনার সমস্যার কারণ নির্ণয় করে উপযুক্ত চিকিৎসা দিতে পারবেন।
ইনসোমনিয়া থেকে বাঁচার কিছু টিপস :
- ঘুমের পরিবেশ তৈরি করুন।ঘুমের ঘরটি অন্ধকার, শান্ত এবং শীতল হওয়া উচিত। ঘুমের ঘরে টেলিভিশন, কম্পিউটার বা মোবাইল ফোন রাখা এড়িয়ে চলুন।
- ঘুমের অভ্যাস গড়ে তুলুন।প্রতিদিন একই সময়ে ঘুমাতে যান এবং একই সময়ে উঠুন। এমনকি ছুটির দিনেও এই অভ্যাস বজায় রাখুন।
- নিয়মিত ব্যায়াম করুন।তবে ঘুমাতে যাওয়ার আগে ব্যায়াম করা এড়িয়ে চলুন।
- পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিন।দিনের বেলা ঘুমিয়ে না থেকে রাতে ঘুমের জন্য সময় রাখুন।
- স্বাস্থ্যকর খাবার খান।অতিরিক্ত ক্যাফেইন, অ্যালকোহল এবং চিনিযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন।
- মানসিক চাপ কমাতে চেষ্টা করুন।যোগব্যায়াম, ধ্যান বা শ্বাস প্রশ্বাসের ব্যায়াম আপনাকে মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করতে পারে।
এই টিপসগুলি অনুসরণ করে আপনি ইনসোমনিয়া থেকে মুক্তি পেতে পারেন এবং একটি সুস্থ ও সুন্দর জীবনযাপন করতে পারেন।
আরো পড়ুন: Drinking water : রোজ কত গ্লাস জল পান করা উচিত প্রাপ্তবয়স্কদের ? বিস্তারিত জানুন
[…] আরো পড়ুন: Insomnia is a common sleep disorder: রাতে ঘুম আসছে না কিন্তু … […]