Android Phone: বিমানে ভ্রমণ করার সময় স্মার্টফোন বা ল্যাপটপে ‘ফ্লাইট মোড’-এ রাখতে বলা হয়। কিন্তু এই ফ্লাইট মোড সম্পর্কে যাঁরা জানেন তাঁরা অনেক সময় এমনিতেও ফোন ফ্লাইট মোডে রেখে দেন। তবে এর কার্যকারিতা আসলে কী তা অনেকেই জানেন না।
- বিমানে ফোন ফ্লাইট মোডে রাখার প্রধান কারণ হলো বিমানের নেভিগেশন ব্যবস্থার সুরক্ষা। বিমানের নেভিগেশন ব্যবস্থায় রেডিও সিগন্যাল ব্যবহার করা হয়। স্মার্টফোন বা ল্যাপটপের সিগন্যাল এই রেডিও সিগন্যালের সাথে হস্তক্ষেপ করতে পারে। এর ফলে বিমানের নেভিগেশন ব্যবস্থায় সমস্যা হতে পারে, যা বিমানের নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ।
- বিমানে ফোন ফ্লাইট মোডে রাখলে স্মার্টফোন বা ল্যাপটপের রেডিও সিগন্যাল বন্ধ হয়ে যায়। ফলে বিমানের নেভিগেশন ব্যবস্থায় হস্তক্ষেপের সম্ভাবনা থাকে না।
- বিমানে ফোন ফ্লাইট মোডে রাখলে বিমানের অন্যান্য যাত্রীর অসুবিধা এড়াতেও সাহায্য করে। ফ্লাইট মোডে থাকলে ফোন থেকে কোনও শব্দ বা আলো বের হয় না। ফলে অন্যান্য যাত্রীর বিশ্রামে ব্যাঘাত ঘটে না।
বিমানে (Android Phone) ফোন ফ্লাইট মোডে না রাখলে কী হয় ?
বিমানে ফোন ফ্লাইট মোডে না রাখলে বিমানের নেভিগেশন ব্যবস্থায় হস্তক্ষেপের সম্ভাবনা থাকে। এর ফলে নিম্নলিখিত সমস্যাগুলি হতে পারে:
১) বিমানের পথ নির্দেশক সিগন্যালগুলিতে হস্তক্ষেপ হতে পারে।
২)বিমানের উচ্চতা বা গতি পরিমাপে সমস্যা হতে পারে।
৩)বিমানের অন্যান্য সিস্টেমের সাথে যোগাযোগে সমস্যা হতে পারে।
বিমানে ফোন ফ্লাইট মোডে না রাখলে নিম্নলিখিত সমস্যাগুলিও হতে পারে:
- অন্যান্য যাত্রীর অসুবিধা হতে পারে।
- বিমানের কর্মীদের সাথে যোগাযোগে সমস্যা হতে পারে।
- বিমানের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হতে পারে।
ফোন ফ্লাইট মোডে রাখলে নিম্নলিখিত সুবিধাগুলি রয়েছে:
- বিমানের নেভিগেশন ব্যবস্থার সুরক্ষা নিশ্চিত হয়।
- অন্যান্য যাত্রীর অসুবিধা এড়ানো যায়।
- ফোন ব্যাটারি বাঁচে।
ফোন ফ্লাইট মোডে না রাখলে নিম্নলিখিত অসুবিধাগুলি হতে পারে:
- বিমানের নেভিগেশন ব্যবস্থায় হস্তক্ষেপ হতে পারে।
- অন্যান্য যাত্রীর অসুবিধা হতে পারে।
- বিমানের কর্মীদের সাথে যোগাযোগে সমস্যা হতে পারে।
- বিমানের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হতে পারে।
- সুতরাং, বিমানে ভ্রমণ করার সময় স্মার্টফোন বা ল্যাপটপ অবশ্যই ফ্লাইট মোডে রাখতে হবে। এটি বিমানের নিরাপত্তা এবং অন্যান্য যাত্রীর সুবিধা নিশ্চিত করার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
আরো পড়ুন: Blood Pressure | রক্তচাপ কম বা বেশি কেন হয়?