Amalki: আমলকি একটি অত্যন্ত পুষ্টিকর ফল। এটিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, ভিটামিন এ, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, এবং আয়রন রয়েছে। আমলকির রয়েছে অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা।
পুষ্টি উপাদান –
আমলকিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে। প্রতি ১০০ গ্রাম আমলকিতে ৩৫০ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি থাকে। এটি দৈনিক ভিটামিন সি এর চাহিদার প্রায় ৩ গুণ। আমলকিতে ভিটামিন এ, ভিটামিন বি১, ভিটামিন বি২, ভিটামিন বি৩, ভিটামিন বি৫, ভিটামিন বি৬, ভিটামিন বি৯, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, কপার, জিংক, সেলেনিয়াম, এবং ম্যাঙ্গানিজ রয়েছে।
আমলকি (Amalki): দোকান থেকে কেনা আমলকির রস না খেয়ে রোজ একটি গোটা আমলকি খেতে পারেন :-
অনেকেই আমলকির রস খেতে পছন্দ করেন। তবে দোকান থেকে কেনা আমলকির রস না খেয়ে রোজ একটি গোটা আমলকি খাওয়ার অনেক সুবিধা রয়েছে –
১. সম্পূর্ণ পুষ্টি পাওয়া যায়: আমলকির রসে আমলকির সব পুষ্টি উপাদান থাকে না। আমলকির রস তৈরি করার সময় কিছু পুষ্টি উপাদান নষ্ট হয়ে যায়। তাই রোজ একটি গোটা আমলকি খেলে আপনি আমলকির সব পুষ্টি উপাদান পাবেন।
২. সহজে হজম হয়: আমলকির রস খেলে অনেকেরই পেট খারাপ হতে পারে। কারণ আমলকির রসে প্রচুর পরিমাণে ট্যানিন থাকে। ট্যানিন হজম সমস্যার কারণ হতে পারে। তাই রোজ একটি গোটা আমলকি খেলে আপনার হজম ভালো থাকবে।
৩. ত্বক ভালো থাকে: প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে। ভিটামিন সি ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। এটি ত্বকের কোলাজেন উৎপাদন বৃদ্ধি করে। কোলাজেন ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে। তাই রোজ একটি গোটা আমলকি খেলে আপনার ত্বক ভালো থাকবে।
৪. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে: প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে। ভিটামিন সি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। তাই রোজ একটি গোটা আমলকি খেলে আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে।
৫. ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়: অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান রয়েছে। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। তাই রোজ একটি গোটা আমলকি খেলে আপনার ক্যান্সারের ঝুঁকি কমবে।
৬. জ্বর কমায়: প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে। ভিটামিন সি জ্বর কমাতে সাহায্য করে। তাই জ্বর হলে রোজ একটি গোটা আমলকি খেতে পারেন।
৭. দাঁত ও মাড়ির স্বাস্থ্য ভালো রাখে: প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে আমলকিতে। ভিটামিন সি দাঁত ও মাড়ির স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে। তাই রোজ একটি গোটা আমলকি খেলে আপনার দাঁত ও মাড়ির স্বাস্থ্য ভালো থাকবে।
আমলকির (Amalki) রসের পাশাপাশি আমলকির শাঁস, গুঁড়া, এবং তেলও বিভিন্নভাবে ব্যবহার করা হয়।
- আমলকির রস: খালি পেটে পান করলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে, ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে, ত্বক ভালো থাকে, এবং হজম ভালো থাকে।
- আমলকির শাঁস: শাঁস দিয়ে সালাদ, জুস, এবং চা তৈরি করা যায়।
- আমলকির গুঁড়া: গুঁড়া দিয়ে বিভিন্ন ধরনের খাবার তৈরি করা যায়।
- আমলকির তেল: তেল চুলের যত্নে ব্যবহার করা হয়।
আমলকির অপকারিতা :-
- অতিরিক্ত পরিমাণে আমলকি খেলে পেট খারাপ হতে পারে।
- আমলকির রসে প্রচুর পরিমাণে ট্যানিন থাকে। ট্যানিন অ্যাসিডিক প্রকৃতির। তাই অ্যাসিডিটি বা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থাকলে আমলকির রস খাওয়া উচিত নয়।
- আমলকিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে
কিভাবে একটি গোটা আমলকি খাবেন ?
একটি গোটা আমলকি খাওয়ার জন্য প্রথমে আমলকির খোসা ছাড়িয়ে নিন। তারপর আমলকির মধ্যের শাঁস খেয়ে নিন। আমলকির শাঁস খেতে একটু টক হতে পারে। তাই আপনি চাইলে আমলকির শাঁস দিয়ে সালাদ বা জুস তৈরি করতে পারেন।
আপনি যদি আমলকির রসের স্বাস্থ্য উপকারিতা পেতে চান, তাহলে আপনি রোজ একটি গোটা আমলকি খেতে পারেন। এতে আপনি আমলকির সব পুষ্টি উপাদান পাবেন এবং আমলকির রসের মতো হজম সমস্যাও হবে না।
আরও পড়ুন: UPI vs Credit card – এবার থেকে সব লেনদেন করা যাবে ক্রেডিট কার্ড থেকেই।। আসুন জেনে নিই বিস্তারিত !!
[…] আরও পড়ুন: দোকান থেকে কেনা আমলকির রস না খেয়ে রোজ… […]