Alternative farming in Purulia: পুরুলিয়ার খরা আর অনিশ্চিত বৃষ্টির সমস্যা নতুন কিছু নয়। এই পরিস্থিতিতে কৃষকরা আমন ধানের উপর নির্ভর না করে বিকল্প চাষের দিকে ঝুঁকছেন। কৃষি দফতরও তাদের এই উদ্যোগকে উৎসাহিত করছে।
কেন বিকল্প চাষ?
- কম জলে বেশি ফলন: হাইব্রিড ভুট্টা, অড়হর, বাদাম, রাগি ইত্যাদি ফসল কম জলেও ভাল ফলন দেয়।
- বাজার: এই ফসলের বাজার ভাল। স্থানীয় বাজার ছাড়াও পাশের জেলাগুলিতেও এই ফসলের চাহিদা রয়েছে।
- সরকারি সহযোগিতা: রাষ্ট্রীয় কৃষি বিকাশ যোজনা, স্টেট প্ল্যান ও জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা মিশনের মাধ্যমে চাষিদের বীজ, সার ইত্যাদি দেওয়া হচ্ছে।
- প্রশিক্ষণ: কৃষি দফতরের পক্ষ থেকে চাষিদের এই ফসল চাষের বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।
কৃষকদের সাফল্য
নিতুড়িয়া ব্লকের কুইরিপাড়া গ্রামের অনেক চাষি ভুট্টা চাষ করে লাভের মুখ দেখেছেন। এক হেক্টর জমিতে তিন থেকে সাড়ে তিন টন ভুট্টার ফলন পাওয়া যায়।
কৃষি দফতরের ভূমিকা
- কৃষি দফতর চাষিদের বিকল্প চাষের দিকে উৎসাহিত করার জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ নিচ্ছে। যেমন:
- বীজ বিতরণ: হাইব্রিড ভুট্টা, অড়হর, বাদাম ও রাগির বীজ বিতরণ করা হচ্ছে।
- প্রশিক্ষণ শিবির: চাষিদের এই ফসল চাষের বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।
- বাজার যোগাযোগ: খাদ্য বিপণন দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ করে চাষিদের ফসল বিক্রির ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
ভবিষ্যৎ:
- পুরুলিয়ায় বিকল্প চাষের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ:
- খরা আর অনিশ্চিত বৃষ্টির সমস্যা: এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে চাষিরা বিকল্প চাষের দিকে ঝুঁকছেন।
- সরকারি সহযোগিতা: সরকারের পক্ষ থেকে বিকল্প চাষকে উৎসাহিত করা হচ্ছে।
- বাজার: এই ফসলের বাজার ভাল।
উপসংহার
পুরুলিয়ায় বিকল্প চাষ একটি নতুন পথ। এই পথে চললে কৃষকরা খরা আর অনিশ্চিত বৃষ্টির সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন এবং ভাল ফলন পেতে পারেন।
আরও পড়ুন: বৃহস্পতির যমজ ভাই! মাত্র ১২ আলোকবর্ষ দূরে নতুন গ্রহ আবিষ্কার