WhatsApp: হোয়াটসঅ্যাপ এখন বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় মেসেজিং অ্যাপ। প্রতিদিন কোটি কোটি মানুষ হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করে যোগাযোগ করে থাকেন। হোয়াটসঅ্যাপ তার ব্যবহারকারীদের জন্য নতুন নতুন ফিচার্স যোগ করে থাকে। সম্প্রতি হোয়াটসঅ্যাপ ঘোষণা করেছে যে তারা তাদের প্ল্যাটফর্মে একটি নতুন ফিচার্স যুক্ত করতে যাচ্ছে। এই ফিচার্সটির নাম হল “ভয়েস চ্যাট”।
ভয়েস চ্যাট হল একটি নতুন ধরনের গ্রুপ কল ফিচার। এই ফিচারটি ব্যবহার করে ব্যবহারকারীরা একই সাথে ৩৩ জন পর্যন্ত ব্যক্তির সাথে ভয়েস চ্যাট করতে পারবেন। ভয়েস চ্যাটের মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা তাদের বন্ধু, পরিবার, সহকর্মীদের সাথে একসাথে কথা বলতে পারবেন।
WhatsApp ভয়েস চ্যাটের বেশ কিছু সুবিধা রয়েছে।
প্রথমত, এই ফিচারটি ব্যবহার করে গ্রুপ কল করা খুবই সহজ হবে।
দ্বিতীয়ত, এই ফিচারটি ব্যবহার করে ব্যবহারকারীরা তাদের বন্ধু, পরিবার, সহকর্মীদের সাথে একসাথে কথা বলতে পারবেন।
তৃতীয়ত, এই ফিচারটি ব্যবহার করে ব্যবহারকারীরা একই সাথে বিভিন্ন কাজ করতে পারবেন।
আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই হোয়াটসঅ্যাপের ভয়েস চ্যাট ফিচারটি রোল আউট করা হবে। এই ফিচারটি রোল আউট হওয়ার পর, হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীরা তাদের বন্ধু, পরিবার, সহকর্মীদের সাথে আরও সহজে যোগাযোগ করতে পারবেন।
ভয়েস চ্যাটের সুবিধা –
হোয়াটসঅ্যাপের ভয়েস চ্যাট ফিচারটির বেশ কিছু সুবিধা রয়েছে। এই সুবিধাগুলির মধ্যে রয়েছে:
সহজ ব্যবহার: ভয়েস চ্যাট ব্যবহার করা খুবই সহজ। গ্রুপ কল করার জন্য, ব্যবহারকারীদের কেবল গ্রুপে যোগ দিতে হবে এবং তারপর “ভয়েস চ্যাট” বিকল্পটি নির্বাচন করতে হবে।
বড় গ্রুপ কল: ভয়েস চ্যাটের মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা একই সাথে ৩৩ জন পর্যন্ত ব্যক্তির সাথে ভয়েস চ্যাট করতে পারবেন।
একসাথে কাজ: ভয়েস চ্যাটের মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা একসাথে বিভিন্ন কাজ করতে পারবেন। উদাহরণস্বরূপ, তারা একসাথে একটি প্রকল্প নিয়ে কাজ করতে পারে বা একটি গেম খেলতে পারে।
ভয়েস চ্যাটের প্রভাব –
হোয়াটসঅ্যাপের ভয়েস চ্যাট ফিচারটি গ্রুপ কলিংয়ের ধারণাকে বদলে দিতে পারে। এই ফিচারটি ব্যবহার করে ব্যবহারকারীরা আরও সহজে এবং আরও কার্যকরভাবে যোগাযোগ করতে পারবেন।
ভয়েস চ্যাটের প্রভাব নিম্নরূপ হতে পারে –
ব্যবসায়িক যোগাযোগ: ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে, ভয়েস চ্যাট ব্যবহার করে ব্যবসায়িক অংশীদারদের সাথে আরও সহজে যোগাযোগ করা সম্ভব হবে।
শিক্ষা: শিক্ষা ক্ষেত্রে, ভয়েস চ্যাট ব্যবহার করে শিক্ষার্থী এবং শিক্ষকদের মধ্যে আরও কার্যকর যোগাযোগ করা সম্ভব হবে।
সামাজিক যোগাযোগ: সামাজিক ক্ষেত্রে, ভয়েস চ্যাট ব্যবহার করে বন্ধু এবং পরিবারের সাথে আরও কাছাকাছি থাকা সম্ভব হবে।
উপসংহার –
হোয়াটসঅ্যাপের ভয়েস চ্যাট ফিচারটি একটি যুগান্তকারী ফিচার। এই ফিচারটি গ্রুপ কলিংয়ের ধারণাকে বদলে দিতে পারে এবং ব্যবহারকারীদের জন্য যোগাযোগকে আরও সহজ এবং আরও কার্যকর করে তুলতে পারে।
আরো পড়ুন: Jogging Vs Walking | জগিং নাকি হাঁটা, ভুঁড়ি কমাতে কোনটা করলে ওজন কমবেই?
[…] […]