Sour yogurt at noon: টক দই আমাদের খাদ্য তালিকার একটি অপরিহার্য অংশ। সুস্বাদু হওয়ার পাশাপাশি, এটি পুষ্টিগুণে ভরপুর। নিয়মিত টক দই খেলে শরীর পায় অসাধারণ সুফল। তবে, কখন টক দই খাওয়া উচিত তা জানলে আরও বেশি উপকার পাওয়া যায়।
দুপুরের খাবারের পর টক দই খাওয়ার কিছু অসাধারণ সুবিধা নীচে তুলে ধরা হলো (Sour yogurt at noon):
১) হজমশক্তি উন্নত করে: দুপুরের ভারী খাবারের পর টক দই খেলে হজম প্রক্রিয়া সহজতর হয়। টক দইতে থাকা প্রোবায়োটিক ব্যাকটেরিয়া পেটের ভালো ব্যাকটেরিয়ার ভারসাম্য রক্ষা করে, যা হজমশক্তি বৃদ্ধি করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য, পেট ফোলাভাব, অ্যাসিডিটির মতো সমস্যা দূর করে।
২) রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে: টক দইতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, সি এবং ডি থাকে, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। এছাড়াও, টক দইতে থাকা প্রোবায়োটিক ব্যাকটেরিয়া শরীরে সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে।
৩) ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে: টক দইতে প্রোটিন ও ক্যালসিয়াম থাকে যা দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখে এবং ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। ফলে, অতিরিক্ত খাওয়া থেকে বিরত থাকা যায় এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা সহজ হয়।
৪) হাড় ও দাঁতের ক্যালসিয়াম: টক দই ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন ডি’র একটি ভালো উৎস, যা হাড় ও দাঁতের ক্যালসিয়াম ভালো রাখতে সাহায্য করে। নিয়মিত টক দই খেলে হাড় মজবুত হয় এবং অস্টিপোরোসিসের ঝুঁকি কমে।
৫) ত্বক ও চুলের যত্ন: টক দই ত্বক ও চুলের জন্য খুবই উপকারী। টক দইতে থাকা ল্যাকটিক অ্যাসিড ত্বকের মৃত কোষ দূর করে এবং ত্বককে উজ্জ্বল করে তোলে। এছাড়াও, টক দইতে থাকা প্রোটিন চুলের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করে এবং চুলকে মসৃণ ও ঝকঝকে করে তোলে।
মনে রাখবেন:
টক দই কখনো খালি পেটে খাবেন না।
দিনে এক কাপের বেশি টক দই খাবেন না।
বাজারজাত টক দই কেনার পরিবর্তে ঘরে তৈরি টক দই খাওয়ার চেষ্টা করুন।
উপসংহার:
দুপুরের খাবারের পর টক দই খাওয়ার অভ্যাস করলে শরীর পায় অসাধারণ সুফল। তাই, নিয়মিত টক দই খেয়ে সুস্থ থাকুন।
আরো পড়ুন: কি আছে আপনার নিয়মিত ব্যায়াম করার তালিকায়? হাঁটা নাকি দৌড়ানো?