Red Light on the Meter: লাল বাতিটি একটি LED (লাইট-এমিটিং ডায়োড) দ্বারা চালিত হয়, যা খুব কম বিদ্যুৎ ব্যবহার করে। আসলে, লাল বাতিটি প্রতি মাসে প্রায় এক ইউনিট বিদ্যুৎ ব্যবহার করে, যা প্রায় 8 টাকার সমতুল্য।
কিছু লোক মনে করে যে লাল বাতিটি একটি অপ্রয়োজনীয় বিরক্তি এবং এটি বিদ্যুৎ অপচয় করে। যাইহোক, লাল বাতিটি আসলে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্দেশ্য পূরণ করে :
- এটি গ্রাহকদের দ্রুত এবং সহজে দেখতে দেয় যে তাদের মিটারটি চালু আছে এবং বিদ্যুৎ ব্যবহার করা হচ্ছে। এটি বিদ্যুতের সমস্যা সমাধানে সহায়তা করতে পারে।
- এটি বিদ্যুৎ চুরি রোধে সাহায্য করে। যদি কেউ বিদ্যুৎ মিটার বাইপাস করার চেষ্টা করে, লাল বাতিটি বন্ধ হয়ে যাবে, যা বিদ্যুৎ সরবরাহকারী সংস্থাকে সতর্ক করবে।
- এটি বিদ্যুৎ সরবরাহকারী সংস্থাগুলিকে মিটারের কার্যকারিতা পর্যবেক্ষণ করতে সহায়তা করে। লাল বাতি পর্যবেক্ষণ করে, বিদ্যুৎ সরবরাহকারী সংস্থাগুলি সম্ভাব্য সমস্যাগুলি সনাক্ত করতে এবং সমাধান করতে পারে।
লাল বাতির কাজ : (Red Light on the Meter)
এই লাল বাতি মিটারটি চালু আছে কিনা তা নির্দেশ করে। যখন আপনার ঘরে বিদ্যুৎ সরবরাহ থাকে, তখন এই লাল বাতি জ্বলে। বিদ্যুৎ চলে গেলে বাতি নিভে যায়।
বিদ্যুৎ খরচ :
অনেকের ধারণা, এই লাল বাতি বিদ্যুৎ খরচ করে এবং এর জন্য আলাদা করে বিল আসে। কিন্তু বাস্তবতা হলো, এই লাল বাতি খুবই কম বিদ্যুৎ খরচ করে।
খরচের পরিমাণ :
একটি লাল বাতি মাসে প্রায় এক ইউনিটের কাছাকাছি বিদ্যুৎ খরচ করে। এক ইউনিট বিদ্যুতের দাম গড়ে ৮ টাকা। তাই, এই লাল বাতির জন্য প্রতি মাসে আপনার বিদ্যুৎ বিলে মাত্র ৮ টাকার মতো অতিরিক্ত খরচ হয়।
বিতর্ক :
যদিও এই লাল বাতির জন্য খরচ খুবই কম, তবুও এটি নীতিগত দিক থেকে বিতর্কের সৃষ্টি করেছে। কারণ, এই লাল বাতি গ্রাহকদের কোনও সুবিধা দেয় না, বরং বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থাগুলোর জন্য মিটারের কার্যকারিতা পর্যবেক্ষণের সুবিধা করে দেয়।
বিকল্প :
কিছু বিশেষজ্ঞ মনে করেন, এই লাল বাতির পরিবর্তে সৌরশক্তি চালিত বিকল্প ব্যবহার করা যেতে পারে। এতে বিদ্যুৎ খরচ কমবে এবং পরিবেশের উপরও ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।
উপসংহার :
মিটারের লাল বাতি খুবই কম বিদ্যুৎ খরচ করে, তবে এর নীতিগত দিক থেকে সমালোচনা করা হয়। বিকল্প প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে এই খরচ কমানো সম্ভব।
আরও পড়ুন: WiFi Router : কিভাবে বাড়াবেন ইন্টারনেট এর গতি !!