Prakriti Malla: নেপালের কিশোরী প্রকৃতি মাল্লা আজকাল সারা বিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন তার অসাধারণ হাতের লেখার জন্য। তার লেখা এতই সূক্ষ্ম এবং সুন্দর যে, অনেকেই বিশ্বাস করতে পারেন না যে এটি হাতে লেখা, বরং কম্পিউটারে টাইপ করা হরফ। তার এই অসাধারণ প্রতিভা তাকে বিশ্বের সেরা হাতের লেখার অধিকারী করে তুলেছে।
একটি ইন্টারনেট সেনসেশন
প্রকৃতির হাতের লেখার যাত্রা শুরু হয় তার অষ্টম শ্রেণিতে পড়াকালীন। একদিন তার একটি অ্যাসাইনমেন্ট ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়ে এবং তা সঙ্গে সঙ্গে ভাইরাল হয়ে যায়। তার লেখার সৌন্দর্য দেখে সবাই মুগ্ধ হয়ে যায়। এই ঘটনার পর থেকে প্রকৃতি বিশ্বব্যাপী পরিচিতি লাভ করে।
বিশ্বব্যাপী সম্মাননা
প্রকৃতির হাতের লেখা শুধু ইন্টারনেটে ভাইরাল হয়েই থাকেনি। তিনি সংযুক্ত আরব আমিরাতের ৫১তম স্পিরিট অফ দ্য ইউনিয়ন উপলক্ষে একটি অভিনন্দন পত্র রচনা করেন এবং ব্যক্তিগতভাবে দূতাবাসে উপস্থাপন করেন। এছাড়াও, নেপালের সশস্ত্র বাহিনীর তরফ থেকেও তাকে পুরস্কার দেওয়া হয়।
হাতের লেখার গুরুত্ব
প্রকৃতির মতো সুন্দর হাতের লেখা হওয়ার জন্য অনেকেরই ইচ্ছা হয়। হাতের লেখা শুধু সুন্দর দেখার জন্যই নয়, এটি একটি ব্যক্তির ব্যক্তিত্বের প্রতিফলনও। ভাল হাতের লেখা থাকলে শিক্ষা জীবনে অনেক সুবিধা হয়। শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের ভাল হাতের লেখার প্রশংসা করেন এবং পরীক্ষার খাতা পরীক্ষা করতেও সুবিধা হয়।
ভাল হাতের লেখা কীভাবে পাওয়া যায়?
ভাল হাতের লেখা পাওয়ার জন্য প্রতিদিন অনুশীলন করা খুবই জরুরি। শিশুদের ছোটবেলা থেকেই ভাল করে পেনটি ধরতে শেখানো উচিত। পাশাপাশি লেখার সময় সোজা হয়ে বসে থাকাও গুরুত্বপূর্ণ।
উপসংহার
প্রকৃতি মাল্লা আমাদের দেখিয়ে দিয়েছে যে, হাতের লেখা শুধু লেখার একটি মাধ্যম নয়, এটি একটি কলা। তার অসাধারণ প্রতিভা আমাদের সকলকে অনুপ্রাণিত করে। আসুন আমরা সবাই প্রকৃতির মতো সুন্দর হাতের লেখা গড়ার চেষ্টা করি।
আরও পড়ুন: কেদারনাথ: হিমালয়ের পবিত্র আশ্রম
[…] […]