Kapil Parmar: মধ্যপ্রদেশের শিবরের এক গ্রাম্য ছেলে কপিল পারমারের জীবন যেন এক অবিশ্বাস্য রূপকথা। এক ভয়াবহ দুর্ঘটনায় প্রায় মৃত্যুমুখী হয়ে, দৃষ্টিশক্তি হারিয়েও তিনি নিজেকে নতুন করে গড়ে তুলেছেন। প্যারালিম্পিক্সে ভারতের জন্য প্রথম জুডো পদক জিতে তিনি গোটা দেশকে গর্বিত করেছেন।
বিদ্যুৎস্পৃষ্টের ভয়াবহতা (Kapil Parmar):
ছোটবেলায় মাঠে খেলাধুলা করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে কপিলের জীবন পুরোপুরি বদলে যায়। ছয় মাস কোমায় থাকার পর যখন তিনি চোখ খোলেন, তখন দেখতে পান যে তিনি দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে ফেলেছেন। এই ভয়াবহ অভিজ্ঞতার পরেও কপিল হার মানেননি।
জীবনের নতুন লক্ষ্য:
দৃষ্টিশক্তি হারানোর পরে কপিল বুঝতে পারেন যে তাঁকে জীবনের নতুন লক্ষ্য খুঁজতে হবে। তিনি ‘ব্লাইন্ড জুডো’ খেলার দিকে ঝুঁকে পড়েন। এই খেলা তাঁকে একটি নতুন জীবন দিয়েছিল। কঠিন পরিশ্রমের মাধ্যমে তিনি এই খেলায় দক্ষতা অর্জন করেন।
কঠিন পরিশ্রমের ফল:
কপিলের পরিবার খুবই গরিব। তাঁর বাবা ট্যাক্সি চালক এবং কপিল এবং তাঁর ভাই একসাথে একটি চায়ের দোকান চালাতেন। কিন্তু কপিলের স্বপ্ন ছিল বড়। তিনি নিজের লক্ষ্যে পৌঁছাতে কঠিন পরিশ্রম করেছেন।
প্যারালিম্পিক্সে ব্রোঞ্জ অর্জন:
প্যারিসে অনুষ্ঠিত প্যারালিম্পিক্সে কপিল জুডোতে ব্রোঞ্জ পদক জিতেছেন। এই অর্জন ভারতের জন্য একটি গর্বের মুহূর্ত। কপিলের এই জয় শুধু তাঁর নিজের জন্যই নয়, সমগ্র দেশের জন্য একটি অনুপ্রেরণা।
কপিলের জীবন যেন আমাদের শিখিয়ে দেয় যে, যে কোনো প্রতিকূলতাকে মোকাবিলা করে জীবনে সফলতা অর্জন করা সম্ভব।
আরো পড়ুন: কুমড়া: সুস্থতার একটি অবিশ্বাস্য উত্স