Hormone of happiness: আমাদের জীবনযাত্রার বিভিন্ন অংশে সুখের অনুভূতি থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সুখের হরমোন যেমন ডোপামিন, সেরোটোনিন, অক্সিটোসিন, এবং এন্ডোরফিন—এই হরমোনগুলোই আমাদের মস্তিষ্কে সুখের অনুভূতি তৈরি করে। সঠিক জীবনযাত্রা ও কিছু সহজ অভ্যাসের মাধ্যমে এই সুখের হরমোনগুলোকে স্বাভাবিকভাবে বাড়ানো সম্ভব। চলুন জেনে নেওয়া যাক এমন ১০টি উপায়, যা আপনার জীবনে স্বস্তি ও আনন্দ বাড়াতে সাহায্য করবে।
1. প্রতিদিনের ব্যায়াম (Hormone of happiness)
প্রতিদিন নিয়মিত ব্যায়াম করা, যেমন হালকা জগিং বা হাঁটা, ডোপামিন ও এন্ডোরফিনের স্তর বাড়ায়। যা মানসিক স্বস্তি এনে দেয় এবং শরীরকে ফুরফুরে রাখে।
2. পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ
ডার্ক চকলেট, কলা, বাদাম ইত্যাদি খাবার ডোপামিন ও সেরোটোনিনের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে। সঠিক খাদ্যাভ্যাস মানসিক স্বাস্থ্যকে উন্নত করে।
3.প্রাকৃতিক আলোতে সময় কাটানো
সূর্যের আলো সেরোটোনিন হরমোনের উৎপাদন বাড়ায়। প্রতিদিন কিছু সময় বাইরে কাটানো, বিশেষ করে সকাল বেলায়, মানসিক সুস্থতা বাড়াতে সাহায্য করে।
4. যোগব্যায়াম ও ধ্যান
যোগব্যায়াম ও ধ্যান মানসিক চাপ কমায় এবং অক্সিটোসিন ও সেরোটোনিনের স্তর বৃদ্ধি করে। এতে মানসিক শান্তি ও সুখের অনুভূতি বেড়ে যায়।
5.গভীর ঘুম
পর্যাপ্ত ও গভীর ঘুম মস্তিষ্কে ডোপামিন এবং সেরোটোনিনের স্তর বাড়ায়। ঘুমের ঘাটতি মানসিক অসুস্থতা ও হতাশা বাড়িয়ে তোলে।
6. প্রিয়জনের সাথে সময় কাটানো
প্রিয়জনদের সাথে সময় কাটানো বা ভালোবাসার মানুষের সাথে যোগাযোগ করা অক্সিটোসিনের স্তর বৃদ্ধি করে। এটি আমাদের মনে আনন্দ ও স্বস্তির অনুভূতি এনে দেয়।
7. হাসি ও মজা করা
হাসি ডোপামিন ও এন্ডোরফিনের স্তর বাড়াতে সাহায্য করে। বন্ধুদের সাথে মজা করা বা হাসির কোনো অনুষ্ঠান উপভোগ করা মানসিক স্বাস্থ্য উন্নত করে।
8. সৃজনশীল কাজ করা
শিল্পকর্ম, সংগীত, বা লেখালেখির মতো সৃজনশীল কাজ ডোপামিনের স্তর বাড়াতে সাহায্য করে। এটি মনকে সুস্থ রাখতে ও মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে।
9. আত্মতৃপ্তি অর্জন
ব্যক্তিগত লক্ষ্য অর্জন করা বা কোনো সফলতা অর্জন ডোপামিনের মাত্রা বাড়ায়। এটি আত্মবিশ্বাস ও সুখের অনুভূতি বাড়িয়ে দেয়।
10. প্রকৃতির মাঝে সময় কাটানো
প্রকৃতির মাঝে সময় কাটানো সেরোটোনিনের স্তর বাড়ায় এবং মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়। একটি সবুজ পরিবেশে হাঁটা বা সময় কাটানো সুখের হরমোনকে সক্রিয় করে।
এই সহজ উপায়গুলো মেনে চললে, আপনার জীবনে সুখের অনুভূতি বৃদ্ধি পাবে এবং মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটবে। তাই, সুখের হরমোন বাড়াতে আজই এসব অভ্যাস গড়ে তুলুন!
আরও পড়ুন: হাওড়া ব্রিজের ৭৫ বছর: কলকাতার ঐতিহাসিক সেতুর জৌলুসে ভাসছে গঙ্গা
[…] […]