Fever Treatment: জ্বর একটি সাধারণ শারীরিক সমস্যা। জ্বর হলে শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বেড়ে যায়।জ্বর থেকে শীঘ্র সেরে উঠতে সঠিক খাবার খাওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
জ্বর সাধারণত একটি অন্তর্নিহিত সমস্যার লক্ষণ। জ্বরের কারণ নির্ণয় এবং চিকিৎসা করা গুরুত্বপূর্ণ।
জ্বরের চিকিৎসার কিছু উপায় রয়েছে (Fever Treatment) :
- ওভার–দ্য–কাউন্টার ওষুধ অ্যাসিটামিনোফেন (টাইলেনল), আইবুপ্রোফেন (অ্যাডভিল) বা ন্যাপ্রোক্সেন (অ্যালেভ) এর মতো জ্বর কমাতে সাহায্য করতে পারে।
- পর্যাপ্ত তরল পান করা নিরূদ্রতা প্রতিরোধে সাহায্য করতে পারে।
- স্পঞ্জ স্নান জ্বর কমাতে সাহায্য করতে পারে।
যদি আপনার জ্বর 103°F (39.4°C) এর বেশি হয়, তাহলে আপনার ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করা উচিত। আপনার যদি নিম্নলিখিত লক্ষণগুলির মধ্যে কোনটি থাকে তবে আপনার ডাক্তারের সাথেও যোগাযোগ করা উচিত:
- তীব্র মাথাব্যথা
- ঘাড় শক্ত হয়ে যাওয়া
- বিভ্রান্তি
- দ্রুত শ্বাস-প্রশ্বাস
- তীব্র বুকের ব্যথা
- জ্বর যা তিন দিনের বেশি স্থায়ী হয়
জ্বর সাধারণত একটি গুরুতর অবস্থা নয়, তবে এটি একটি অন্তর্নিহিত সমস্যার লক্ষণ হতে পারে। জ্বরের কারণ নির্ণয় এবং চিকিৎসা করা গুরুত্বপূর্ণ।
কিছু খাবার আছে যা জ্বরের সময় খাওয়া উচিত নয় কারণ এগুলো জ্বর আরও বাড়িয়ে দিতে পারে :
১. মিষ্টিজাতীয় খাবার:
- মিষ্টি, সোডা, ক্যান্ডি, পেস্ট্রির মতো মিষ্টি জ্বরের সময় না খাওয়াই ভালো।
- এগুলো রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দিতে পারে এবং জ্বর দীর্ঘায়িত করতে পারে।
২. দুগ্ধজাত খাবার:
- দুধ, দই, পনির, মাখন, ক্রিম জ্বরের সময় হজম করতে কষ্ট হতে পারে।
- এগুলো শ্লেষ্মা বৃদ্ধি করতে পারে এবং জ্বর আরও বাড়িয়ে দিতে পারে।
৩. তেল–মসলাযুক্ত খাবার:
- তেল-মসলাযুক্ত খাবার হজম করতে কষ্ট হতে পারে এবং শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি করতে পারে।
- জ্বরের সময় হালকা ও সহজপাচ্য খাবার খাওয়া উচিত।
৪. লাল মাংস:
- লাল মাংস হজম করতে কষ্ট হতে পারে এবং শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি করতে পারে।
- জ্বরের সময় মুরগির মাছ, সাদা মাছ, ডিম ইত্যাদি খাওয়া ভালো।
৫. সাইট্রাস ফল:
- লেবু, কমলা, মাল্টা, আঙ্গুরের মতো সাইট্রাস ফল জ্বরের সময় অ্যাসিডিটির সমস্যা তৈরি করতে পারে।
- জ্বরের সময় পেঁপে, আপেল, কলা, তরমুজ ইত্যাদি খাওয়া ভালো।
জ্বরের সময় যেসব খাবার খাওয়া উচিত :
- পানি: প্রচুর পরিমাণে পানি পান করা জ্বর কমাতে সাহায্য করে।
- ফলের রস: তাজা ফলের রস ভিটামিন ও খনিজ পদার্থের ভালো উৎস।
- স্যুপ: স্যুপ শরীরে পানির পরিমাণ বাড়াতে এবং পুষ্টি সরবরাহ করতে সাহায্য করে।
- ডাল: ডাল প্রোটিনের ভালো উৎস এবং শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
- শাকসবজি: শাকসবজি ভিটামিন ও খনিজ পদার্থের ভালো উৎস এবং শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
জ্বরের সময় বিশ্রাম নেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ।যদি জ্বর 3 দিনের বেশি স্থায়ী হয়, তাহলে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিত।এই তথ্যগুলো শুধুমাত্র সাধারণ জ্ঞানের জন্য।
আরো পড়ুন: Anemia : অ্যানিমিয়ার কবলে শৈশব,শিশুদের রক্তাল্পতা বৃদ্ধি –