Positive বার্তা (বাংলা)

A teamwork initiative of Enthusiastic people using Social Media Platforms

Homeপ্রযুক্তিElectricity From Urine : IIT-র বিজ্ঞানীদের অভাবনীয় আবিষ্কার !! জেনে নিন সুবিধা...

Electricity From Urine : IIT-র বিজ্ঞানীদের অভাবনীয় আবিষ্কার !! জেনে নিন সুবিধা –

Electricity From Urine : IIT-র বিজ্ঞানীদের অভাবনীয় আবিষ্কার !! জেনে নিন সুবিধা -

Electricity From Urine: হ্যাঁ, আপনি ঠিকই পড়েছেন! IIT-র বিজ্ঞানীরা এক বিশেষ প্রযুক্তি তৈরি করেছেন যা প্রস্রাব থেকে বিদ্যুৎ উৎপন্ন করতে পারে। এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে, মূত্র ব্যবহার করে আলো জ্বালানো এবং পাখা ঘোরানো সম্ভব।

কীভাবে কাজ করে এই প্রযুক্তি ? (Electricity From Urine )

এই প্রযুক্তিতে, প্রস্রাবকে একটি বিশেষ চুল্লিতে প্রক্রিয়া করা হয়। এই চুল্লিতে অ্যাক্রিলিকের তৈরি অ্যানোড এবং ক্যাথোড থাকে। প্রস্রাব ঢেলে দিলে ইলেক্ট্রোকেমিক্যাল বিক্রিয়া শুরু হয়। এই বিক্রিয়ার ফলে একইসাথে বিদ্যুৎ এবং জৈব সার উৎপন্ন হয়। এই জৈব সার নাইট্রোজেন, ফসফরাস এবং ম্যাগনেসিয়াম সমৃদ্ধ, যা উদ্ভিদের জন্য অপরিহার্য পুষ্টি উপাদান।

 সুবিধা :

  • পরিবেশবান্ধব : এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে, আমরা প্রস্রাবকে একটি মূল্যবান সম্পদে রূপান্তর করতে পারি। এতে পরিবেশে দূষণ কম হবে।
  • টেকসই : প্রস্রাব একটি নবায়নযোগ্য সম্পদ, যার মানে এই প্রযুক্তি দীর্ঘস্থায়ী হবে।
  • স্বল্প খরচে : এই প্রযুক্তি তৈরি করতে তেমন খরচ হয় না।

কিছু অসুবিধা :

  • প্রযুক্তি এখনও পরীক্ষামূলক পর্যায়ে : এই প্রযুক্তি এখনও বাজারজাত করার জন্য প্রস্তুত নয়। এটি আরও উন্নত করার জন্য সময় লাগবে।
  • বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিমাণ কম : এই প্রযুক্তি ৫০০ মিলিওয়াট এবং ৭ থেকে ১২ ভোল্টের বিদ্যুৎ উৎপন্ন করতে পারে। এটি বড় জায়গার বিদ্যুতের চাহিদা পূরণ করতে পারবে না।
  • প্রস্রাব সংগ্রহ প্রক্রিয়াজাতকরণ : প্রচুর পরিমাণে মূত্র সংগ্রহ এবং প্রক্রিয়াজাতকরণ একটি জটিল এবং অস্বাস্থ্যকর প্রক্রিয়া হতে পারে।
  • পরিবেশগত ঝুঁকি : প্রস্রাব থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের ফলে কিছু পরিবেশগত ঝুঁকি দেখা দিতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, প্রক্রিয়াজাতকরণের সময় দূষিত পানি নিষ্কাশিত হতে পারে।
  • সামাজিক গ্রহণযোগ্যতা : মূত্র থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের ধারণা কিছু মানুষের কাছে অস্বীকার্য হতে পারে।

বর্তমান অবস্থা :

এই প্রযুক্তি এখনও পরীক্ষামূলক পর্যায়ে রয়েছে। ৫০০ মিলিওয়াট এবং ৭ থেকে ১২ ভোল্টের বিদ্যুৎ উৎপন্ন করতে পারে। বর্তমানে, এটি মোবাইল ফোন এবং এলইডি আলো চার্জ করতে ব্যবহার করা হচ্ছে। ভবিষ্যতে, এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে বড় জায়গার বিদ্যুতের চাহিদা মেটানো সম্ভব হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

এই আবিষ্কার বিশ্বব্যাপী বিদ্যুৎ সংকট সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।

আরও কিছু তথ্য :
  • এই প্রযুক্তি ‘মাইক্রোবিয়াল ফুয়েল সেল‘ নামে পরিচিত।
  • এই প্রযুক্তিতে ব্যাকটেরিয়া প্রস্রাবের জৈব উপাদানকে বিদ্যুতে রূপান্তর করে।
  • এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে, বিদ্যুৎ উৎপাদনের পাশাপাশি জৈব সারও তৈরি করা সম্ভব।
  • এই প্রযুক্তি ভবিষ্যতে বিদ্যুৎ সংকট সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।

আরও পড়ুন: সরস্বতী পূজা : জ্ঞান ও সৃজনশীলতার আলোকিত উৎসব।

Join Our WhatsApp Group For New Update
RELATED ARTICLES

1 COMMENT

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

spot_img

সবচেয়ে জনপ্রিয়