Banana Flower: কলা গাছের ফুল, যদিও আমরা সাধারণত কলার ফলটির দিকেই বেশি নজর দিই, তবুও এর ফুলেরও আলাদা এক রকম মাহাত্ম্য রয়েছে। এই ফুলটি শুধু সুন্দর দেখতেই নয়, এর ভেতরে রয়েছে একাধিক পুষ্টিগুণ। আজকে আমরা কলার ফুলের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করব।
কলার ফুলের বৈশিষ্ট্য (Banana Flower)
আকৃতি: কলার ফুল বেশ বড় হয় এবং এর রঙ হালকা বেগুনি বা সাদাটে হয়ে থাকে।
গন্ধ: ফুলটির সুগন্ধ খুবই মিষ্টি এবং মনোরম।
পুষ্টিগুণ: কলার ফুল ভিটামিন, খনিজ লবণ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর। এতে আয়রন, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম প্রচুর পরিমাণে থাকে।
ঔষধি গুণ: কলার ফুল অনেক রোগের প্রতিকারে ব্যবহৃত হয়। এটি রক্তশূন্যতা দূর করতে, হজম শক্তি বাড়াতে এবং ত্বকের রোগ দূর করতে সাহায্য করে।
কলার ফুলের ব্যবহার
রান্না: অনেক দেশে কলার ফুলকে খাবার হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এটি দিয়ে তরকারি, ভাজি, চাটনি এবং অন্যান্য খাবার তৈরি করা হয়।
ঔষধ: আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় কলার ফুলকে বিভিন্ন রোগের প্রতিকারে ব্যবহৃত হয়।
সৌন্দর্যচর্চা: কলার ফুলের পেস্ট ত্বকের জন্য খুব উপকারী। এটি ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করে এবং উজ্জ্বল করে তোলে।
কলার ফুলের উপকারিতা
রক্তশূন্যতা দূর করে: কলার ফুলে প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকায় এটি রক্তশূন্যতা দূর করতে সাহায্য করে।
হজম শক্তি বাড়ায়: কলার ফুল হজম শক্তি বাড়াতে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে।
ত্বকের জন্য উপকারী: কলার ফুল ত্বকের জন্য খুব উপকারী। এটি ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করে এবং উজ্জ্বল করে তোলে।
চুলের জন্য উপকারী: কলার ফুল চুলের জন্যও উপকারী। এটি চুলের মূলকে শক্ত করে এবং চুলের বৃদ্ধি ঘটায়।
উপসংহার
কলার ফুল শুধু সুন্দর দেখতেই নয়, এর ভেতরে রয়েছে একাধিক পুষ্টিগুণ। তাই আজ থেকেই আপনার খাদ্যতালিকায় কলার ফুলকে অন্তর্ভুক্ত করুন।
আরো পড়ুন: বলুন তো, পৃথিবীর মধ্যে প্রথম মেট্রো চালু হয় কোন শহরে! কলকাতা কি? উত্তর জেনে চমকে উঠবেনই নিশ্চিত