Anhydrous Fasting: নির্জলা উপোস, যেখানে একজন ব্যক্তি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য পানি ও অন্যান্য তরল পান করা থেকে বিরত থাকে, ধর্মীয় রীতিনীতি, স্বাস্থ্য উন্নত করার জন্য, বা ওজন কমানোর জন্য অনুশীলন করা হয়।
ঝুঁকি(নির্জলা উপোস – ঝুঁকি ও সাবধানতা) Anhydrous Fasting:
- ডিহাইড্রেশন: নির্জলা উপোসের সবচেয়ে বড় ঝুঁকি হল ডিহাইড্রেশন। ডিহাইড্রেশন ক্লান্তি, মাথাব্যথা, চक्कर, কিডনির ক্ষতি, এমনকি মৃত্যুর কারণ হতে পারে।
- ইলেক্ট্রোলাইট ভারসাম্যহীনতা: নির্জলা উপোস ইলেক্ট্রোলাইট ভারসাম্যহীনতা তৈরি করতে পারে যা হৃৎস্পন্দন, পেশী খিঁচুনি, এবং বিভ্রান্তির কারণ হতে পারে।
- ক্ষুধা ও দুর্বলতা: নির্জলা উপোসের সময় তীব্র ক্ষুধা ও দুর্বলতা অনুভূত হতে পারে।
- অন্যান্য ঝুঁকি: গর্ভবতী বা স্তন্যদানকারী মহিলা, ডায়াবেটিস, কিডনি রোগ, বা হৃৎপিণ্ডের সমস্যা রোগীদের জন্য নির্জলা উপোস বিশেষভাবে ঝুঁকিপূর্ণ।
সাবধানতা :
- উপোস শুরু করার আগে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।
- ধীরে ধীরে উপোস শুরু করুন এবং ধীরে ধীরে সময় বাড়ান।
- উপোসের সময় পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিন।
- তীব্র ক্ষুধা, মাথাব্যথা, চक्कर, বা দুর্বলতা অনুভূত হলে উপোস বন্ধ করুন।
- উপোস ভাঙার সময় হালকা খাবার খান।
নির্জলা উপোস শরীরের জন্য অনেক উপকারী হলেও, উপোস ভাঙার পর সঠিক পুষ্টি গ্রহণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই সময়, ‘নারকেল জল দুধ‘ একটি অসাধারণ পানীয় যা আপনাকে দ্রুত শক্তি ও পুষ্টি সরবরাহ করতে পারে।
নারকেল জল দুধের সুবিধা :
- ইলেক্ট্রোলাইট সমৃদ্ধ: নারকেল জল দুধে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম, সোডিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম থাকে যা উপোসের সময় হারানো ইলেক্ট্রোলাইট পুনরুদ্ধার করে।
- হজমে সহায়ক: নারকেল জল দুধে থাকা এনজাইম হজম প্রক্রিয়া উন্নত করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে।
- শক্তি বৃদ্ধি করে: নারকেল জল দুধে থাকা প্রাকৃতিক চিনি দ্রুত শক্তি সরবরাহ করে এবং ক্লান্তি দূর করে।
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে: নারকেল জল দুধে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
- ত্বক ও চুলের জন্য উপকারী: নারকেল জল দুধ ত্বক ও চুলের জন্য অত্যন্ত উপকারী।
নারকেল জল দুধ তৈরি করতে হবে :
- একটি নারকেলের খোসা ছাড়িয়ে নারকেল জল ও নারকেলের কোরান (কিছু অংশ) একসাথে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করুন।
- ছেঁকে নিন এবং ঠান্ডা করে পরিবেশন করুন।
উপোস ভাঙার পর নারকেল জল দুধ পান করার সর্বোত্তম সময় :
- উপোস ভাঙার পর প্রথম খাবার হিসেবে নারকেল জল দুধ পান করুন।
- দিনে ২-৩ বার নারকেল জল দুধ পান করতে পারেন।
দ্রষ্টব্য:
- যাদের ডায়াবেটিস, কিডনি রোগ বা অন্য কোনও স্বাস্থ্য সমস্যা আছে তারা নারকেল জল দুধ পান করার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
- বাজারে বিক্রি হওয়া ‘নারকেল জল দুধ’ কিনতে পারেন, তবে তা কৃত্রিম উপাদান মুক্ত কিনা তা নিশ্চিত করে নিন।
নির্জলা উপোসের পর সঠিক পুষ্টি ও ক্লান্তি দূর করতে ‘নারকেল জল দুধ‘ একটি অসাধারণ পানীয়।
আরো পড়ুন: Bank Account : ব্যাংকে একের বেশি অ্যাকাউন্ট থাকা: সুবিধা, অসুবিধা-
[…] […]