A Slice of Joy: বাঁকুড়া শহরের বুকে, কেন্দুয়াডিহি নিম্ন বুনিয়াদি বিদ্যালয় যেন এক আশার আলো। এই স্কুলের প্রতিটি পড়ুয়া যেন এক একটি তারা, যাদের অধিকাংশই আর্থিক ভাবে পিছিয়ে থাকা পরিবারের সন্তান। অভাবের সংসারে হয়তো তাদের জন্মদিন পালন করা সম্ভব হয় না। কিন্তু, এই স্কুলের শিক্ষিকারা তাদের জীবনে এনেছেন এক নতুন আলো।
স্কুলের অভিনব উদ্যোগ:
প্রতি মাসে জন্মদিনের উৎসব: যে মাসে যত জন পড়ুয়ার জন্মদিন, মাসের শেষ শনিবার তাদের জন্য আয়োজন করা হয় বিশেষ উৎসব। কেক কাটা, পায়েসের মিষ্টি স্বাদ, আর বন্ধুদের সাথে আনন্দ ভাগ করে নেওয়া – এই দিনটি তাদের কাছে স্বপ্নের মতো।
মিড-ডে মিলে বিশেষ আয়োজন: জন্মদিনের দিন মিড-ডে মিলের মেনুতেও থাকে বিশেষ চমক। ভাত, ডাল, আলু পোস্ত, মুরগির মাংস, চাটনি, আর শেষ পাতে মিষ্টি – এই আয়োজন তাদের মুখে হাসি ফোটায়।
এই উদ্যোগের ইতিবাচক প্রভাব:
স্কুলের প্রতি টান বৃদ্ধি: এই ধরনের উদ্যোগে পড়ুয়াদের মনে স্কুলের প্রতি এক বিশেষ ভালোলাগা তৈরি হয়। তারা বুঝতে পারে, স্কুল শুধু পড়াশোনার জায়গা নয়, এখানে তাদের আনন্দ, স্বপ্ন, আর ভালোবাসারও জায়গা আছে।
স্কুলছুটের সংখ্যা হ্রাস: স্কুলের এই ধরনের উদ্যোগে পড়ুয়াদের নিয়মিত স্কুলে আসার আগ্রহ বাড়ে। ফলে, স্কুলছুটের সংখ্যাও কমে আসে।
মানসিক বিকাশ: এই ধরনের অনুষ্ঠান পড়ুয়াদের মানসিক বিকাশেও সাহায্য করে। তারা সামাজিক হতে শেখে, একে অপরের সাথে আনন্দ ভাগ করে নিতে শেখে।
কেন্দুয়াডিহি নিম্ন বুনিয়াদি বিদ্যালয়ের এই উদ্যোগ সমাজের কাছে এক দৃষ্টান্ত। শিক্ষিকাদের আন্তরিক প্রচেষ্টা প্রমাণ করে, সদিচ্ছা থাকলে সমাজের পিছিয়ে পড়া শিশুদের জীবনেও আনা যায় এক নতুন আলো।
আরও পড়ুন: থিয়েটার কার্নিভাল ২০২৫: বরানগরে নাট্যপ্রেমীদের উৎসবমুখর মিলনমেলা
[…] […]