The Paralympics: গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিক্সের আবেশ এখনও কাটিয়ে ওঠার আগেই, প্যারালিম্পিক্সের উত্তেজনা ফুঁটে উঠেছে। ফ্রান্সের প্যারিসে আগামীকাল থেকে শুরু হচ্ছে এই বিশেষ অলিম্পিক্স। যেখানে শারীরিক প্রতিবন্ধী ক্রীড়াবিদরা তাদের অসাধারণ প্রতিভা ও অদম্য ইচ্ছাশক্তি প্রদর্শন করবেন।
প্যারালিম্পিক্স শুধু একটি ক্রীড়া প্রতিযোগিতা নয়, এটি হল প্রতিবন্ধীদের জন্য একটি অনুপ্রেরণার উৎস। হুইলচেয়ারে বসে বাস্কেটবল খেলা, দুই হাত ছাড়াই তীরন্দাজি, দৃষ্টিহীনদের ফুটবল খেলা— এই সবই দেখে মনে হয়, প্রতিবন্ধকতা কখনোই স্বপ্ন পূরণের বাধা হতে পারে না।
সমাজের দ্বিমুখী মনোভাব
যদিও সমাজের মনোভাব ধীরে ধীরে বদলাচ্ছে, তবুও প্রতিবন্ধীদের প্রতি সম্পূর্ণ গ্রহণযোগ্যতা এখনও আসেনি। ‘প্রতিবন্ধী’ শব্দটি ‘বিশেষভাবে সক্ষম’ শব্দে পরিবর্তিত হলেও, সমাজের অনেকের মনেই প্রতিবন্ধীদের প্রতি অনুকম্পা ও দয়া থাকে, সম্মান নয়। প্রতিবন্ধীদের সামাজিক-সাংস্কৃতিক দৃশ্যমানতা বাড়ানোর জন্য আরও অনেক কিছু করার আছে।
রাষ্ট্রের দায়িত্ব
রাষ্ট্রও প্রতিবন্ধীদের জন্য যথেষ্ট করে না। প্রতিবন্ধীদের জন্য প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা এবং অবকাঠামো গড়ে তোলার ক্ষেত্রে অনেক কাজ এখনও বাকি রয়েছে। প্রতিবন্ধীরা শিক্ষক, বিজ্ঞানী, শিল্পী, খেলোয়াড়— সবাই হতে পারে। তাদেরকে এই সুযোগ করে দেওয়া রাষ্ট্রের দায়িত্ব।
প্যারালিম্পিক্সে ভারতের সাফল্য
টোকিয়ো অলিম্পিক্সে ভারতের পদকের সংখ্যা যতটা ছিল, প্যারালিম্পিক্সে তার চেয়ে অনেক বেশি। তবুও প্যারালিম্পিক্সে সোনা জয়ী সুমিত অন্তিলকে যতটা সম্মান ও প্রচার দেওয়া হয়নি, অলিম্পিক্সে সোনা জয়ী নীরজ চোপড়াকে ততটা দেওয়া হয়েছে। এটি একটি দুঃখজনক বাস্তবতা।
সমাপ্তি
প্যারালিম্পিক্স প্রমাণ করে যে, প্রতিবন্ধকতা মানুষের স্বপ্ন পূরণের বাধা হতে পারে না। সমাজকে প্রতিবন্ধীদের প্রতি সম্মান ও সমানুভূতি দেখাতে হবে। রাষ্ট্রকে তাদের জন্য যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। শুধু তখনই একটি সুস্থ ও সমৃদ্ধ সমাজ গড়ে তোলা সম্ভব।
আরো পড়ুন: গান শুনলেই মন ভালো হবে, জানেন কেন? গান শোনার অবিশ্বাস্য উপকারিতা
[…] […]