Smart Phone: স্মার্টফোনের কোন নির্দিষ্ট “এক্সপায়ারি ডেট” থাকে না। তবে, বিভিন্ন জায়গায় ফোনের উৎপাদন তারিখ, ওয়ারেন্টি তথ্য, এবং সফটওয়্যার আপডেটের সময়সীমা সম্পর্কিত তথ্য পাওয়া যায়।
১. ফোনের বক্স (Smart Phone):
- ফোনের বক্সের বাইরের অংশে উৎপাদন তারিখ এবং ওয়ারেন্টি তথ্য লেখা থাকে।
- বক্সের ভেতরে,ফোনের ম্যানুয়ালেও এই তথ্যগুলো থাকতে পারে।
২. ফোনের সেটিংস :
- ফোনের সেটিংস অ্যাপে “About Phone” বা “General” অপশনে গেলে উৎপাদন তারিখ এবং সফটওয়্যার ভার্সন সম্পর্কে তথ্য পাওয়া যায়।
- কিছু ফোনে,“Warranty” অপশনে ওয়ারেন্টি তথ্যও দেখা যায়।
৩. IMEI নম্বর :
- ফোনের IMEI নম্বর ব্যবহার করে কিছু ওয়েবসাইটে ফোনের উৎপাদন তারিখ এবং ওয়ারেন্টি তথ্য যাচাই করা যায়।
৪. তৃতীয় পক্ষের অ্যাপ :
- “Device Info HW” বা “CPU-Z” এর মতো তৃতীয় পক্ষের অ্যাপ ব্যবহার করে ফোনের হার্ডওয়্যার এবং সফটওয়্যার সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যায়।
স্মার্টফোনের আয়ু কত ?
স্মার্টফোনের আয়ু নির্ভর করে বিভিন্ন বিষয়ের উপর, যেমন:
- ফোনের ব্র্যান্ড এবং মডেল
- ফোনের ব্যবহারের ধরণ
- ফোনের যত্ন
সাধারণত, একটি ভালো ব্র্যান্ডের এবং যত্ন সহকারে ব্যবহৃত স্মার্টফোন ৩ থেকে ৫ বছর পর্যন্ত সুचारूভাবে কাজ করতে পারে। তবে, এরপর ফোনের পারফরম্যান্স কমে যেতে পারে এবং নতুন ফিচারগুলোর আপডেট পাওয়া যাবে না।
৯০ শতাংশ মানুষ ভুল জানেন –
অনেক মানুষ মনে করেন যে স্মার্টফোনের একটি নির্দিষ্ট “এক্সপায়ারি ডেট” থাকে, যার পর ফোনটি আর কাজ করবে না। এটি ভুল ধারণা। স্মার্টফোন নষ্ট হওয়ার বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে, যেমন:
- ব্যাটারি নষ্ট
- হার্ডওয়্যারের সমস্যা
- সফটওয়্যারের ত্রুটি
ফোনের যত্ন নেওয়া এবং নিয়মিত আপডেট করার মাধ্যমে এর আয়ু বাড়ানো সম্ভব।
কিছু টিপস (Smart Phone):
- ফোনটিকে পানি এবং ধুলো থেকে দূরে রাখুন।
- ফোনটিকে অতিরিক্ত গরম বা ঠান্ডা থেকে রক্ষা করুন।
- ফোনের ব্যাটারির যত্ন নিন।
- নিয়মিত ফোনের সফটওয়্যার আপডেট করুন।
- অপ্রয়োজনীয় অ্যাপ এবং ফাইল ডিলিট করুন।
এই টিপসগুলো অনুসরণ করার মাধ্যমে আপনার স্মার্টফোনের আয়ু বাড়ানো সম্ভব।
[…] […]