Morning walk: সকালের উষার সঙ্গে হাতে হাত ধরে যখন আমরা হাঁটতে বের হই, তখন শুধু শরীর নয়, মনও পায় নতুন এক জোয়ার। হাঁটা, এই সহজ কিন্তু অত্যন্ত কার্যকরী ব্যায়ামটি আমাদের শরীর ও মনের জন্য কত উপকারী, তা হয়তো আমরা অনেকেই জানি না। আজকে আমরা বিশদে জানব, কেন সকালের হাঁটা আমাদের জীবনে এত গুরুত্বপূর্ণ।
শরীরের জন্য হাঁটার উপকারিতা (Morning walk)
- মেটাবলিজম বাড়ায়: সকালের হাঁটা মেটাবলিজম বাড়িয়ে ক্যালোরি পোড়াতে সাহায্য করে। ফলে ওজন কমাতে এবং শরীরকে স্বাস্থ্যকর রাখতে এটি অত্যন্ত কার্যকরী।
- হৃদপিণ্ড স্বাস্থ্য: নিয়মিত হাঁটা হৃদপিণ্ডকে সুস্থ রাখে, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে এবং হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমায়।
- হাড় ও জয়েন্ট: হাঁটা হাড় ও জয়েন্টকে শক্তিশালী করে, অস্টিওপোরোসিসের ঝুঁকি কমায় এবং যন্ত্রণা উপশম করে।
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা: হাঁটা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে বিভিন্ন রোগের সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে।
- মাংসপেশির শক্তি: নিয়মিত হাঁটা শরীরের মাংশপেশির শক্তি বাড়িয়ে শারীরিক কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
মনের জন্য হাঁটার উপকারিতা
- মানসিক চাপ কমায়: সকালের হাঁটা শরীরে এন্ডোরফিন হরমোন নিঃসরণ বাড়িয়ে মানসিক চাপ কমায় এবং মেজাজ ভাল রাখে।
- উদ্বেগ ও বিষণ্ণতা কমায়: নিয়মিত হাঁটা উদ্বেগ ও বিষণ্নতার লক্ষণ কমাতে সাহায্য করে।
- ঘুমের গুণগত মান বাড়ায়: সকালের হাঁটা রাতে ভাল ঘুমাতে সাহায্য করে এবং ঘুমের গুণগত মান বাড়ায়।
- সৃজনশীলতা বৃদ্ধি: হাঁটা মস্তিষ্ককে সক্রিয় করে এবং সৃজনশীলতা বৃদ্ধি করে।
- আত্মবিশ্বাস বাড়ায়: নিয়মিত হাঁটা আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে নিজেকে আরও ভালো বোধ করতে সাহায্য করে।
কতটা হাঁটা উচিত?
সাধারণত প্রতিদিন কমপক্ষে ৩০ মিনিট মৃদু গতিতে হাঁটা শরীরের জন্য উপকারী। তবে আপনার শারীরিক অবস্থা অনুযায়ী এই সময় বাড়ানো যেতে পারে। ধীরে ধীরে হাঁটার সময় এবং গতি বাড়িয়ে আপনি নিজের জন্য একটি উপযুক্ত রুটিন তৈরি করতে পারেন।
কখন হাঁটা শুরু করা উচিত?
সকালের উষার সঙ্গে হাঁটা শুরু করা সবচেয়ে উপকারী। এই সময় বাতাস পরিষ্কার থাকে এবং শরীরকে সতেজ করে তোলে। তবে আপনার জন্য সুবিধাজনক যেকোনো সময়ে হাঁটা শুরু করতে পারেন।
সুতরাং, আজই থেকে সকালের হাঁটার অভ্যাস শুরু করুন এবং দেখুন কীভাবে আপনার শরীর ও মন দুটোই সুস্থ হয়ে উঠছে!
আরও পড়ুন: সাঁতার: স্বাস্থ্যের জন্য একটি অসাধারণ উপকারী কার্যকলাপ