Kolkata: গত কয়েক সপ্তাহে, ভারতের ইএনটি (Ear, Nose, Throat) চিকিৎসা ক্ষেত্রে একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা ঘটেছে। অল ইন্ডিয়ান ইএনটি অ্যাসোশিয়েশনের প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচিত হয়েছেন কলকাতার কেপিসি মেডিক্যাল কলেজের প্রধান ইএনটি (E.N.T) সার্জন ডাঃ দ্বৈপায়ন মুখোপাধ্যায়। এই প্রথম একজন পূর্বভারতের চিকিৎসক এই গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় সংগঠনের নেতৃত্ব দানের সুযোগ পেলেন। এই ঘটনা কি তাহলে ইঙ্গিত দিচ্ছে যে ঠিক এখনই ইএনটি চিকিৎসার ক্ষেত্রে কলকাতা নতুন গন্তব্য হয়ে উঠতে চলেছে?
ইএনটি (E.N.T) চিকিৎসায় ভারতের চ্যালেঞ্জ (Kolkata):
- বাতাস ও শব্দ দূষণের ফলে অ্যালার্জি ও সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ছে।
- ইউরোপীয় গাইডলাইন ভারতীয়দের শারীরিক গঠন ও পরিবেশের সাথে সম্পূর্ণ সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।
- দেশের সব জায়গায় সুনির্দিষ্ট চিকিৎসা সুবিধা নেই।
কলকাতার সুবিধা :
- ডাঃ মুখোপাধ্যায়ের নির্বাচন ও তাঁর অভিজ্ঞতা এনটি চিকিৎসায় কলকাতার শক্তি প্রদর্শন করে।
- কলকাতার বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান মানসম্পন্ন চিকিৎসা ও গবেষণার সুযোগ দেয়।
- চিকিৎসা ব্যয় তুলনামূলকভাবে সাশ্রয়ী হতে পারে।
নতুন দিগন্ত :
- ডাঃ মুখোপাধ্যায় ইএনটি চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণ ও গবেষণায় গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলেছেন।
- ভারতীয়দের জন্য আলাদা গাইডলাইন তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে, যা আরও কার্যকরী চিকিৎসা নিশ্চিত করবে।
- এই পরিবর্তনগুলি কলকাতাকে ইএনটি চিকিৎসার ক্ষেত্রে একটি আকর্ষণীয় গন্তব্য হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে পারে।
সীমাবদ্ধতা ও চ্যালেঞ্জ :
- কলকাতার সকল ইএনটি চিকিৎসকই উচ্চমানের নাও হতে পারেন।
- অন্যান্য শহরের সুবিধা ও অভিজ্ঞতাকে অবহেলা করা উচিত নয়।
- সারা দেশে মানসম্পন্ন চিকিৎসা নিশ্চিত করতে আরও উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন।
উপসংহার :
ডাঃ মুখোপাধ্যায়ের নির্বাচন অবশ্যই ইতিবাচক, তবে এটিকে কলকাতাকে একমাত্র গন্তব্য হিসেবে না দেখে, দেশের ইএনটি চিকিৎসার মান বৃদ্ধির একটি সুযোগ হিসেবে দেখা উচিত। সারা দেশের চিকিৎসকদের পারস্পরিক সহযোগিতা ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ই সকলের জন্য সর্বোত্তম ফল বয়ে আনবে।
আরো পড়ুন: iPhone/iPad privacy restrictions:বাচ্চাদের হাতে আইফোন-আইপ্যাড দিচ্ছেন?