Kanak Burman Gourd: কালচিনি গভর্নমেন্টের পার্শ্ববর্তী এলাকার একজন কৃষক। আইটিআই কনক বর্মণ লাউ চাষ করে অর্থনৈতিক লাভের মুখ দেখেছে। কনক বর্মন লাউ এক ধরনের শীতকালীন তরমুজ যা মিষ্টি ও কোমল মাংসের জন্য পরিচিত। এটি ভারতের একটি জনপ্রিয় সবজি এবং পশ্চিমবঙ্গ সহ অনেক রাজ্যে জন্মে।
দোআঁশ থেকে ভারী পলিমাটি পর্যন্ত প্রায় সব ধরনের মাটিতেই লাউ চাষ করা যায়। যাইহোক, তারা জৈব পদার্থ সমৃদ্ধ ভাল-নিষ্কাশিত মাটি পছন্দ করে। লাউ চাষের জন্য আদর্শ পিএইচ পরিসীমা হল 6.0 থেকে 7.0।
লাউ চাষের জন্য বীজ রোপণের সময় মনে রাখতে হবে যে এটি এমন জায়গায় রোপণ করতে হবে যেখানে বৃষ্টির পানি দাঁড়ায় না এবং সবসময় আলো-বাতাস পাওয়া যায়, অর্থাৎ ছায়ামুক্ত জায়গায়। বীজ মাটির 2-3 সেন্টিমিটার গভীরে রোপণ করতে হবে এবং গাছের মধ্যে 60-75 সেমি দূরত্ব রাখতে হবে।
লাউ চাষের বহুমুখিতা
তাদের বহুমুখীতা এবং বিভিন্ন ধরনের মাটির সাথে খাপ খাইয়ে নেওয়ার জন্য বিখ্যাত, যা কৃষকদের মধ্যে তাদের পছন্দের পছন্দ করে তুলেছে। দো-আঁশ মাটি থেকে ভারী পলিমাটি পর্যন্ত, লাউ বিভিন্ন পরিসরে উন্নতি করতে পারে।
যাইহোক, যা সত্যিকার অর্থে লাউ চাষকে আলাদা করে তা হল পর্যাপ্ত সূর্যালোক এবং সঠিক নিষ্কাশন পাওয়া পর্যন্ত প্রায় যেকোনো পরিবেশে এর বিকাশের ক্ষমতা। ক্রমবর্ধমান পরিস্থিতিতে এই নমনীয়তা লাউ চাষকে তাদের অবস্থান বা মাটির ধরন নির্বিশেষে বিভিন্ন ধরণের কৃষকদের কাছে অ্যাক্সেসযোগ্য করে তোলে।
আদর্শ রোপণ অবস্থার গুরুত্ব
কালচিনির সফল কৃষক কনক বর্মণ লাউ চাষের জন্য সঠিক স্থান নির্বাচনের গুরুত্বের ওপর জোর দেন। লাউ বীজ রোপণের সময়, এমন একটি জায়গা বেছে নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ যেখানে বৃষ্টির জল স্থির থাকে না এবং যেখানে গাছগুলি যথেষ্ট আলো এবং বাতাস পায়। এর অর্থ হল ছায়া-মুক্ত এলাকায় লাউ চাষ করা, যাতে গাছগুলিকে ফলপ্রসূ হতে পারে এবং তাদের ফলনের সম্ভাবনাকে সর্বাধিক করে তুলতে পারে।
আরও পড়ুন: যোগ্য প্রার্থীর সন্ধানে একের পর এক Campus drive হয়ে চলেছে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন আইটিআইগুলিতে।
কনক বর্মনের লাভজনক উদ্যোগ
কনক বর্মনের লাউ চাষে উদ্যোগী হওয়ার সিদ্ধান্তটি একটি বুদ্ধিমান বলে প্রমাণিত হয়েছে, এই বছর লাভজনক ফলাফল দিয়েছে৷ লাউ চাষ তাকে আয়ের একটি স্থির উৎস প্রদান করেছে এবং তার অর্থনৈতিক উন্নতিতে উল্লেখযোগ্যভাবে অবদান রেখেছে। তার সাফল্যের গল্প শুধু লাউ চাষের লাভজনকতার প্রমাণ নয় বরং একটি স্থিতিশীল জীবিকা নির্বাহের জন্য কৃষি পদ্ধতির বৈচিত্র্যকরণের গুরুত্বেরও একটি অনুস্মারক।
লাউ চাষের অর্থনৈতিক সুবিধা
লাউ চাষ কনক বর্মনের মতো কৃষকদের জন্য অগণিত অর্থনৈতিক সুবিধা প্রদান করে:
উচ্চ বাজারের চাহিদা: লাউ, তাদের রন্ধনসম্পর্কীয় এবং ঔষধি ব্যবহারের বিস্তৃত পরিসর সহ, স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক উভয় বাজারেই একটি সামঞ্জস্যপূর্ণ চাহিদা রয়েছে। এই চাহিদা কৃষকদের জন্য একটি স্থিতিশীল আয় নিশ্চিত করে।
কম উৎপাদন খরচ: লাউ চাষের জন্য ন্যূনতম ইনপুট এবং সংস্থানগুলির প্রয়োজন হয়, এটিকে ছোট আকারের এবং সম্পদ-সংকল্পিত কৃষকদের জন্য একটি খরচ-কার্যকর পছন্দ করে তোলে।
সংক্ষিপ্ত বৃদ্ধি চক্র: লাউদের একটি অপেক্ষাকৃত ছোট বৃদ্ধি চক্র থাকে, সাধারণত 70 থেকে 90 দিনের মধ্যে পরিপক্ক হয়। এই দ্রুত টার্নওভার কৃষকদের তুলনামূলকভাবে দ্রুত আয় করতে দেয়।
ফসলের আবর্তন এবং বৈচিত্র্যকরণ: লাউ চাষকে ফসলের ঘূর্ণন পদ্ধতিতে একীভূত করা যেতে পারে, যা মাটির স্বাস্থ্যে অবদান রাখে এবং কীটপতঙ্গ ও রোগের ঝুঁকি কমায়।
কালচিনির Govt. ITI অফিসিয়াল ওয়েবসাইট: লিঙ্ক