Job Fairs: বর্তমানে কর্মসংস্থান একটি বড় চ্যালেঞ্জ। বিশেষ করে যারা কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা গ্রহণ করেন, তাদের জন্য উপযুক্ত চাকরি খুঁজে পাওয়া অনেক সময় কঠিন হয়ে পড়ে। এই সমস্যা সমাধানে পশ্চিমবঙ্গ সরকার এক প্রশংসনীয় উদ্যোগ নিয়েছে। গত ২রা সেপ্টেম্বর, দুর্গাপুর সরকারি আই.টি.আই ক্যাম্পাসে আয়োজিত হলো এক বিশেষ ‘চাকরি ও শিক্ষানবিশ মেলা’ (Job Fairs Cum Apprenticeship Mela)। এই মেলাটি শুধু একটি অনুষ্ঠান ছিল না, এটি ছিল দক্ষতা ও কর্মসংস্থানের মধ্যে সেতুবন্ধনকারী এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
মেলা আয়োজনের মূল উদ্দেশ্য
এই মেলার প্রধান উদ্দেশ্য ছিল পলিটেকনিক, আই.টি.আই, ভোকেশনাল এবং PBSSD-এর মতো কারিগরি ও বৃত্তিমূলক প্রতিষ্ঠান থেকে পাশ করা এবং অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের জন্য সরাসরি কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করা। সাধারণত, এই ধরনের শিক্ষার্থীরা কারিগরি প্রশিক্ষণ পেলেও প্রায়শই সঠিক কর্মসংস্থানের অভাবে ভুগতে হয়। এই মেলা তাদের জন্য একটি সরাসরি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করেছে, যেখানে তারা নিয়োগকর্তাদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলতে পেরেছেন এবং চাকরির জন্য আবেদন করতে পেরেছেন।
উদ্যোগে অংশগ্রহণকারী ও সুফল
এই মেলায় বিভিন্ন নামী-দামী বেসরকারি ও সরকারি সংস্থা অংশগ্রহণ করে। তারা কেবল চাকরির সুযোগই দেয়নি, বরং শিক্ষানবিশি বা অ্যাপ্রেন্টিসশিপের সুযোগও প্রদান করে। এর মাধ্যমে তরুণরা তাদের শেখা দক্ষতাকে বাস্তবে প্রয়োগ করার এবং অভিজ্ঞতার সঙ্গে পরিচিত হওয়ার সুযোগ পেয়েছে। মেলায় শত শত শিক্ষার্থী ও যুবক-যুবতীরা বায়োডাটা নিয়ে হাজির হন, যা মেলার গুরুত্ব ও চাহিদা প্রমাণ করে। তাদের বক্তব্য থেকে জানা গেছে, এই ধরনের মেলা চাকরি খোঁজার প্রক্রিয়াকে অনেক সহজ করে দেয় এবং সরাসরি নিয়োগকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করার সুযোগ আত্মবিশ্বাস বাড়াতে সাহায্য করে।
ভবিষ্যতের পরিকল্পনা
দুর্গাপুরের এই সফল মেলার পর সরকারি সূত্রে জানানো হয়েছে, ভবিষ্যতে রাজ্যের অন্যান্য জেলাতেও এই ধরনের মেলার আয়োজন করা হবে। এটি একটি অত্যন্ত ইতিবাচক পদক্ষেপ, যা রাজ্যের সর্বত্র শিক্ষিত যুবকদের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করতে সাহায্য করবে। এই ধরনের মেলা একদিকে যেমন বেকারত্ব কমাতে সাহায্য করবে, তেমনই রাজ্যের শিল্পক্ষেত্রে দক্ষ শ্রমিকের সরবরাহ বৃদ্ধি করবে, যা সামগ্রিকভাবে রাজ্যের অর্থনৈতিক উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করবে।
দুর্গাপুরের এই চাকরি ও শিক্ষানবিশ মেলা এক নতুন আশার সঞ্চার করেছে। এটি প্রমাণ করে যে, সঠিক উদ্যোগ ও কার্যকর পরিকল্পনা গ্রহণ করলে কর্মসংস্থানের সমস্যা সমাধান করা সম্ভব। এটি শুধু একটি মেলা নয়, এটি দক্ষতা, প্রশিক্ষণ এবং কর্মসংস্থানের এক সফল মেলবন্ধন।
আরও পড়ুন: নিরামিষ হোক বা না হোক, মরসুমের তাজা পটল দিয়ে বানিয়ে ফেলুন সুস্বাদু মৌরি-পটল!