Durgapur’s ‘Bindu’: কলকাতার এক মর্যাদাপূর্ণ ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে দুর্গাপুরের শর্ট ফিল্ম ‘বিন্দু’ সেরা শিশু শিল্পীর সম্মান অর্জন করে আবারও দুর্গাপুরের মুকুটে নতুন পালক যোগ করেছে। টেক টাচ এন্টারটেইনমেন্ট-এর সৌজন্যে কলকাতার শিয়ালদা রামমোহন লাইব্রেরীতে আয়োজিত এই উৎসবে, পরিচালক শীর্ষেন্দু সরকার-এর মুকুটে যোগ হল আরেকটি পালক। তাঁর পরিচালিত এই শর্ট ফিল্মটি কেবল সেরা শিশু শিল্পীর পুরস্কারই জেতেনি, একই সঙ্গে এটি সেরা শর্ট ফিল্ম আর্ট হিসেবেও স্বীকৃতি পেয়েছে।
শ্রেষ্ঠত্বের নেপথ্যে ‘বিন্দু’
‘বিন্দু’ ছবির সাফল্যের মূল কারণ হলো তার বাস্তবমুখী ও মর্মস্পর্শী কাহিনি এবং প্রধান চরিত্রে অভিনয় করা শিশু শিল্পী অনিরুদ্ধ লোহার-এর অসাধারণ অভিনয়। অনিরুদ্ধ তার প্রাণবন্ত এবং হৃদয়গ্রাহী অভিনয়ের মাধ্যমে দর্শকদের মন জয় করেছেন। তারই ফলস্বরূপ তিনি বেস্ট চাইল্ড আর্টিস্ট-এর সম্মান অর্জন করেছেন। ‘বিন্দু’ একটি সাধারণ গল্পকে অসাধারণভাবে তুলে ধরেছে, যা শুধুমাত্র বিনোদনের উৎস নয়, বরং সমাজে একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা পৌঁছে দিয়েছে।
পরিচালক শীর্ষেন্দু সরকারের অবিরাম সাফল্য
পরিচালক শীর্ষেন্দু সরকার এর আগেও একাধিক ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে তাঁর কাজের জন্য সম্মানিত হয়েছেন। তাঁর পরিচালিত চলচ্চিত্রগুলোতে সামাজিক বার্তা, বাস্তবতার নিখুঁত প্রতিফলন এবং নতুন প্রতিভাদের সুযোগ করে দেওয়ার যে মানসিকতা, তা তাকে এক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে দিয়েছে। ‘বিন্দু’ সেই ধারাবাহিক সাফল্যের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। তাঁর এই জয় শুধু দুর্গাপুরের নয়, সমগ্র পশ্চিমবঙ্গের সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলকে সমৃদ্ধ করেছে।
দুর্গাপুরের গর্ব: ‘বিন্দু’ এবং তার টিম
এই জয় দুর্গাপুরের সাংস্কৃতিক অঙ্গনে এক নতুন উদ্দীপনা সৃষ্টি করেছে। স্থানীয় সাংস্কৃতিক মহল থেকে শুরু করে সাধারণ দর্শক—সবার মুখে আজ একটাই নাম, ‘বিন্দু’। এই শর্ট ফিল্মটি প্রমাণ করেছে যে, ছোট শহরের প্রতিভাও বড় মঞ্চে নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করতে পারে। দুর্গাপুরের এক তরুণ পরিচালকের এই ধারাবাহিক সাফল্য নিঃসন্দেহে শহরের গর্ব বাড়িয়েছে এবং বাংলা চলচ্চিত্রের জগতে একটি নতুন বার্তা দিয়েছে।
আরও পড়ুন: মেট্টুর ড্যাম : তামিলনাড়ুর গর্বের প্রকৌশল বিস্ময়