Drinking Water: শীতের হাওয়ায় মন ভালো, কিন্তু এই ঠান্ডা আবহাওয়ায় জল পানের পরিমাণ কমে যাওয়াটা বেশ চিন্তার বিষয়। তৃষ্ণা কম অনুভূত হওয়ায় আমরা ভুলে যাই যে শীতকালেও শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে জলের প্রয়োজন।
শীতকালে জল পান কমে গেলে কী কী সমস্যা দেখা দিতে পারে ? (Drinking Water)
- ডিহাইড্রেশন : শরীরে জলের ঘাটতি দেখা দিলে ডিহাইড্রেশন হতে পারে। এর ফলে ত্বক শুষ্ক হয়ে যাওয়া, মাথাব্যথা, ক্লান্তি, কোষ্ঠকাঠিন্য, প্রস্রাব কম হওয়া, মুখ শুকিয়ে যাওয়া ইত্যাদি লক্ষণ দেখা দিতে পারে।
- রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সমস্যা : ডিহাইড্রেশন রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সমস্যা তৈরি করতে পারে।
- কিডনিতে পাথর : পর্যাপ্ত পরিমাণে জল না খেলে কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়।
- জয়েন্টে ব্যথা : শরীরে জলের ঘাটতি হলে জয়েন্টে ব্যথা হতে পারে।
- শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়া : জল শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
পর্যাপ্ত জল পানের গুরুত্ব :
- ত্বকের সুরক্ষা : শীতকালে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়। পর্যাপ্ত জল পান ত্বককে আর্দ্র রাখতে সাহায্য করে।
- হজমশক্তি উন্নত করে : জল হজম প্রক্রিয়াকে সহায়তা করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করে।
- রক্ত প্রবাহ : জল রক্ত প্রবাহ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
- শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ : জল শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
- শরীরের বিষাক্ত পদার্থ বের করে দেয় : জল শরীরের বিষাক্ত পদার্থ বের করে দিতে সাহায্য করে।
জল পানের উপায় :
- নিয়মিত জল পানের অভ্যাস গড়ে তুলুন।
- তৃষ্ণা না পেলেও ঘন্টায় ঘন্টায় জল পান করুন।
- ঠান্ডা জল পান করতে অসুবিধা হলে হালকা গরম জল পান করুন।
- জল পানের স্মারক ব্যবহার করুন।
- জলীয় খাবার, যেমন: ফল, সবজি, স্যুপ ইত্যাদি খান।
- প্রস্রাবের রঙ গাঢ় হলুদ হলে বুঝতে হবে শরীরে জলের ঘাটতি হচ্ছে।
পরিশেষে :
শীতকালেও শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে জলের প্রয়োজন। ডিহাইড্রেশন এড়াতে এবং সুস্থ থাকতে নিয়মিত জল পান করা উচিত।
আরও পড়ুন: Keyboard Shortcuts: আপনার ল্যাপটপের কাজকে দ্রুততর করুন!!