Cucumber: শসা (Cucumis sativus) Cucurbitaceae পরিবারের লতানো বর্ষজী ফল। এগুলি ভারত, বাংলাদেশ এবং মধ্যপ্রাচ্যের স্থানীয়। শসা 95% পানি দিয়ে তৈরি এবং এতে ক্যালোরি খুব কম। এগুলি ভিটামিন কে, ভিটামিন সি এবং পটাশিয়ামের একটি ভাল উত্স।
শসা একটি জনপ্রিয় সবজি যা সারা বছর ধরে পাওয়া যায়। এটি ত্বকের জন্য অত্যন্ত উপকারী এবং গরমের সময় ত্বককে ঠান্ডা ও রিফ্রেশ রাখতে সাহায্য করে। শসা 96% পানি দ্বারা গঠিত, যা এটিকে ত্বকের জন্য একটি দুর্দান্ত হাইড্রেটেন্ট করে তোলে।
শসা বিভিন্ন উপায়ে খাওয়া যেতে পারে, যার মধ্যে রয়েছে :
- কাঁচা, সালাদ বা স্যান্ডউইচে
- স্যুপ বা স্ট্যুতে রান্না করা
- আচার বা মেরিনেট করা
- রস করা
শসার উপকারিতা :
- হাইড্রেশন: শসা ত্বককে হাইড্রেটেড রাখে এবং শুষ্কতা ও রুক্ষতা দূর করে।
- ঠান্ডা ভাব: শসা ত্বককে ঠান্ডা করে এবং গরমের সময় জ্বালাপোড়া কমায়।
- ভিটামিন ও খনিজ: শসায় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, কে এবং খনিজ যেমন পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও সালফার থাকে যা ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্য জরুরি।
- এন্টিঅক্সিডেন্ট: শসায় থাকা এন্টিঅক্সিডেন্ট ত্বককে ফ্রি রেডিকেলের ক্ষতি থেকে রক্ষা করে।
- ত্বকের প্রদাহ কমায়: শসার ঠান্ডা ভাব ত্বকের প্রদাহ ও জ্বালাপোড়া কমাতে সাহায্য করে।
- ডার্ক সার্কেল দূর করে: শসার টুকরো চোখের পাতায় রাখলে ডার্ক সার্কেল দূর হয়।
- ত্বকের টানটান ভাব বজায় রাখে: শসা ত্বকের কোলাজেন উৎপাদন বৃদ্ধি করে ত্বকের টানটান ভাব বজায় রাখে।
শসার অপকারিতা :
- ঠান্ডা লাগা: যাদের ত্বক সংবেদনশীল তাদের শসা ব্যবহারের ফলে ঠান্ডা লাগতে পারে।
- অ্যালার্জি: কিছু মানুষের শসায় অ্যালার্জি হতে পারে।
- ব্যাকটেরিয়া: শসায় ব্যাকটেরিয়া থাকতে পারে, যা ত্বকের সংক্রমণের কারণ হতে পারে।
শসা ব্যবহারের সাবধানতা :
- শসা ব্যবহারের আগে ভালো করে ধুয়ে নিন।
- সংবেদনশীল ত্বকের জন্য শসা ব্যবহারের আগে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
- শসা দীর্ঘক্ষণ ত্বকে রাখবেন না।
- শসা ব্যবহারের পর ত্বক ভালো করে মুছে ফেলুন।
পরিশেষে বলা যায়, গরমের সময় ত্বকের যত্ন নেওয়ার জন্য শসা একটি ভালো উপায়। তবে সাবধানতা অবলম্বন করে শসা ব্যবহার করা উচিত।
এছাড়াও, শসা শুধু ত্বকের জন্যই উপকারী নয়, এটি স্বাস্থ্যের জন্যও ভালো। শসায় ক্যালোরি কম থাকে এবং এতে প্রচুর পরিমাণে পানি থাকে, যা ওজন কমাতে সাহায্য করে। এছাড়াও, শসা হজমশক্তি উন্নত করে এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।