Bankura’s Inventor: বাঁকুড়া, এক সময়ের গ্রামীণ জীবনের প্রতীক। কিন্তু আজকের বাঁকুড়া হচ্ছে উদ্ভাবনের এক উজ্জ্বল উদাহরণ। গ্রামীণ বাংলার মাটিতেই জন্ম নিচ্ছে এমন এক যান যা শুধু বাঁকুড়াকে নয়, সমগ্র দেশকে চমকে দিয়েছে।
চঞ্চল সিং, একজন সাধারণ কারিগর, তাঁর অসাধারণ মেধা ও কৌশল দিয়ে তৈরি করেছেন একটি ইলেকট্রিক বাস। এই বাস শুধু একটি বাহন নয়, এটি হল বাঁকুড়ার স্বপ্নের একটি প্রতীক। এই বাসে একসঙ্গে ১৬ জন আরামে বসতে পারবে। দু’দিক খোলা এই বাসটি দেখতে অনেকটা টোটোর মতো হলেও এর কার্যকারিতা এবং প্রযুক্তি অনেক উন্নত।
কেন এই বাস এত বিশেষ? (Bankura’s Inventor)
স্থানীয় উদ্ভাবন: এই বাসটি সম্পূর্ণ বাঁকুড়ায় তৈরি। এটি প্রমাণ করে যে, গ্রামীণ বাংলার মানুষও উন্নত প্রযুক্তির কাজে সক্ষম।
পরিবেশবান্ধব: ইলেকট্রিক হওয়ায় এই বাস পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর নয়। এটি বায়ু দূষণ রোধে সাহায্য করবে।
স্বদেশী: এই বাসের প্রতিটি অংশ প্রায় স্বদেশী। এটি দেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করবে।
সুলভ মূল্য: সাড়ে তিন থেকে চার লাখ টাকার মধ্যে এই বাস কিনতে পাওয়া যাবে। এটি সাধারণ মানুষের কাছে সুলভ।
বাঁকুড়ার ভবিষ্যৎ:
চঞ্চল সিংয়ের এই উদ্ভাবন বাঁকুড়ার ভবিষ্যৎকে নতুন মাত্রা দিয়েছে। এই বাস শুধু বাঁকুড়ায় নয়, সমগ্র দেশে পরিবহন ব্যবস্থায় বিপ্লব ঘটাতে পারে। এই উদ্ভাবনের ফলে বাঁকুড়া আরও বেশি করে পর্যটকদের আকর্ষণ করতে পারবে।
আমাদের সবাইকে মিলে এই উদ্ভাবনকে সমর্থন করতে হবে।
চঞ্চল সিংয়ের মতো আরো অনেক মেধাবী মানুষকে উৎসাহিত করতে হবে। তাদেরকে নতুন নতুন উদ্ভাবন করার জন্য সাহায্য করতে হবে। শুধু বাঁকুড়া নয়, সমগ্র দেশকে উন্নত করতে হলে আমাদের সবাইকে এক হয়ে কাজ করতে হবে।
আরো পড়ুন: জাদব মলাহী: ভারতের বনমানুষ ! জাদুকরী পরিবেশের রক্ষক