Acid Reflux Medicine Side Effects: আমাদের দৈনন্দিন জীবনে গ্যাসের সমস্যা বেশ পরিচিত। খাওয়া-দাওয়ার পর পেট ফাঁপা, ঢেকুর তোলা, পেটে ব্যথা, বমি ভাব – এসব লক্ষণ দেখা গেলেই অনেকেই দ্রুত গ্যাসের ওষুধের দিকে ঝুঁকে পড়েন। কিন্তু কথায় কথায় এই ওষুধগুলো গিলে ফেলা কি সত্যিই স্বাস্থ্যকর?
গ্যাসের কিছু সাধারণ কারণ :
- অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস: তৈলাক্ত, মসলাদার, ঝাল খাবার, ক্যাফেইন, কার্বোনেটেড পানীয়, অ্যালকোহল ইত্যাদি খাবার গ্যাসের সমস্যা বাড়িয়ে দিতে পারে।
- দ্রুত খাওয়া: দ্রুত খাওয়ার ফলে খাবার ভালোভাবে চিবানো হয় না, যার ফলে হজমে সমস্যা হয় এবং গ্যাস তৈরি হয়।
- কোষ্ঠকাঠিন্য: দীর্ঘ সময় ধরে মলত্যাগ না হলে পেটে বায়ু জমা হয় এবং গ্যাসের সমস্যা দেখা দেয়।
- মানসিক চাপ: মানসিক চাপ হজমশক্তিকে প্রভাবিত করে এবং গ্যাসের সমস্যা বাড়িয়ে দিতে পারে।
- কিছু ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া: কিছু ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে গ্যাসের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
- অন্যান্য কারণ: ল্যাকটোজ অসহিষ্ণুতা, সিলিএক রোগ, আইবিএস ইত্যাদি রোগের কারণেও গ্যাসের সমস্যা হতে পারে।
ওষুধের ধরণ :
- অ্যান্টাসিড: এসিডিটি কমাতে সাহায্য করে।
- এনজাইম: হজমশক্তি বৃদ্ধি করে।
- অ্যান্টিফ্ল্যাটুলেন্ট: পেটে গ্যাসের পরিমাণ কমাতে সাহায্য করে।
গ্যাসের ওষুধের অতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে :
- পুষ্টির ঘাটতি:দীর্ঘদিন ধরে গ্যাসের ওষুধ খেলে শরীরে ভিটামিন বি১২, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং আয়রনের ঘাটতি দেখা দিতে পারে।
- হাড়ের সমস্যা:অস্টিওপোরোসিসের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়।
- কিডনির সমস্যা:কিডনিতে পাথর হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
- স্মৃতিশক্তি হ্রাস:ডিমেনশিয়ার ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়।
- অন্যান্য সমস্যা:কোষ্ঠকাঠিন্য, ডায়রিয়া, মাথাব্যথা, বমি বমি ভাব, এলার্জি ইত্যাদি সমস্যা দেখা দিতে পারে।
মুক্তির বিকল্প উপায় :
- খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন:
- দ্রুত খাওয়া এড়িয়ে চলুন।
- খাবার ভালো করে চিবিয়ে খান।
- তৈলাক্ত, মসলাদার, ঝাল খাবার কম খান।
- ক্যাফেইন, কার্বোনেটেড পানীয়, অ্যালকোহল এড়িয়ে চলুন।
- প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন।
- ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার বেশি খান।
- নিয়মিত ব্যায়াম:
- প্রতিদিন ৩০ মিনিট হাঁটা, দৌড়ানো, সাইকেল চালানো ইত্যাদি ব্যায়াম করুন।
- মানসিক চাপ কমানো:
- যোগব্যায়াম, ধ্যান ইত্যাদির মাধ্যমে মানসিক চাপ কমাতে চেষ্টা করুন।
কখন ডাক্তারের পরামর্শ নেবেন :
- যদি দীর্ঘদিন ধরে গ্যাসের সমস্যা থাকে।
- যদি গ্যাসের সাথে তীব্র পেট ব্যথা, বমি, ডায়রিয়া, রক্তপাত ইত্যাদি লক্ষণ দেখা দেয়।
গ্যাসের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে কথায় কথায় ওষুধের উপর নির্ভর না করে জীবনযাত্রার পরিবর্তন এবং স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস গ্রহণ করা উচিত। তবে দীর্ঘস্থায়ী গ্যাসের সমস্যা হলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
আরো পড়ুন: Mid Day Meal : রাজ্যের মিড ডে মিলকেই ‘মডেল’ বলে আখ্যা –