A colorful Iftar party: রমজান মাস, যা বিশ্বব্যাপী মুসলমানদের জন্য এক পবিত্র এবং আধ্যাত্মিক সময়, কলকাতায় এবারে এক বিশেষ অনুষ্ঠানটি পালন করা হলো, যা সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যের বার্তা ছড়িয়ে দিয়েছে। শহরের প্রখ্যাত গ্র্যান্ড হোটেলের পাশে আয়োজিত হয়েছে এক বর্ণাঢ্য ইফতার পার্টি, যেখানে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষ একত্রিত হয়ে ঐতিহ্য, ভ্রাতৃত্ববোধ ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।
এই ইফতার পার্টির আয়োজনকারীরা জানান, ইফতার কেবল উপবাস ভঙ্গের জন্য নয়, বরং এটি একটি ঐক্যবদ্ধতার এবং মানবিকতা প্রদর্শনের সময়। তাদের উদ্দেশ্য ছিল ধর্মীয় ভাবধারার চেয়ে বড় কিছু, যা হলো সকল মানুষের মধ্যে ভালোবাসা, সৌহার্দ্য এবং একে অপরকে সহযোগিতা করার মানসিকতা গড়ে তোলা। এমন একটি সময়ে যখন পৃথিবী জুড়ে নানা অশান্তি এবং বিভাজন রয়েছে, তখন এই ধরনের উদ্যোগ আরও বেশি প্রয়োজনীয় হয়ে ওঠে।
ইফতার পার্টির উপস্থিত অতিথিরা এই অনুষ্ঠানকে তাদের মধ্যে বন্ধুত্বের ও সহযোগিতার এক সেতু হিসেবে দেখেন। তারা একত্রিত হয়ে একটি শক্তিশালী বার্তা দিয়েছেন—ধর্ম, বর্ণ বা সম্প্রদায়ের পার্থক্য ভুলে, সকলেই একসাথে সুখী এবং শান্তিপূর্ণভাবে জীবন যাপন করতে পারে। অনুষ্ঠানটি সাম্প্রদায়িক সেতুবন্ধনের প্রতীক হয়ে উঠেছে, যা সত্যিই একটি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির প্রকাশ।
উপস্থিত অতিথিরা তাদের বক্তব্যে বলেন, “এই ধরনের অনুষ্ঠানে আমরা শুধু উপবাস ভঙ্গ করি না, বরং আমরা মনের সম্পর্কেও একটি নতুন সূচনা করি। আমাদের উদ্দেশ্য শুধু ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালন করা নয়, বরং আমাদের সমাজে ভালোবাসা, সৌহার্দ্য এবং একতা ছড়িয়ে দেওয়া।”
এদিনের অনুষ্ঠানটি সকলের মনে এক নতুন আশা এবং আশার আলো জ্বালিয়েছে। এটি প্রমাণ করেছে যে, সমাজে ধর্ম-বর্ণের ভেদাভেদ ভুলে সবাই একসাথে চলতে পারে, আর সেই একতা ও ভালোবাসা সম্প্রদায়ের শক্তি হয়ে উঠতে পারে। এমন উদ্যোগগুলো আমাদের প্রমাণ দেয় যে, সমাজের শান্তি এবং ঐক্য কেবলমাত্র আমাদের সুস্থ মনোভাব ও সহযোগিতার মাধ্যমে সম্ভব।
অতএব, কলকাতার এই ইফতার পার্টি শুধু একটি খাবারের আয়োজন ছিল না, বরং এটি একটি বার্তা, একটি শিক্ষা, যা আমাদের সমাজকে আরও উন্নত, সহনশীল এবং ঐক্যবদ্ধ করার পথ প্রদর্শন করে।
আরও পড়ুন: দীর্ঘ মহাকাশ যাত্রা শেষে পৃথিবীতে ফিরলেন সুনিতা উইলিয়ামস ও বুচ উইলমোর
[…] […]