Positive বার্তা (বাংলা)

A teamwork initiative of Enthusiastic people using Social Media Platforms

Homeস্বাস্থ্যজল: শরীরের অমূল্য সম্পদ

জল: শরীরের অমূল্য সম্পদ

Water: মানবদেহের প্রায় ৬০ শতাংশ এবং পৃথিবীর পৃষ্ঠভাগের প্রায় ৭১ শতাংশ জল দ্বারা আবৃত। হয়তো জলের এমন সর্বব্যাপী উপস্থিতির কারণেই প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান করা অনেকেরই প্রাথমিকতা তালিকার শীর্ষে থাকে না।

জলের ১৫টি অপরিহার্য উপকারিতা

১. সন্ধিগুলিকে সুষ্ঠু রাখে: সন্ধি এবং মেরুদণ্ডের ডিস্কগুলিতে প্রায় ৮০ শতাংশ জল থাকে। দীর্ঘস্থায়ী পানিশূন্যতা সন্ধির ধাক্কা শোষণ ক্ষমতা কমিয়ে দেয়, যার ফলে সন্ধি ব্যাথা হতে পারে।

২. লালাগ্রন্থি ও শ্লেষ্মা তৈরি করে: লালা খাদ্য পরিপাক এবং মুখ, নাক ও চোখের আর্দ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। এটি ঘর্ষণ এবং ক্ষতি প্রতিরোধ করে। জল পান মুখকে পরিষ্কার রাখে। মিষ্টি পানীয়ের পরিবর্তে জল পান দাঁতের ক্ষয় কমাতে পারে।

৩. শরীরের সর্বত্র অক্সিজেন সরবরাহ করে: রক্তের ৯০ শতাংশের বেশি জল, এবং রক্ত শরীরের বিভিন্ন অংশে অক্সিজেন বহন করে।

৪. ত্বকের স্বাস্থ্য ও সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে: জলশূন্যতার কারণে  ত্বকের রোগ এবং অকাল বার্ধক্যের প্রতি আরও সংবেদনশীল হতে পারে।

৫. মস্তিষ্ক, মেরুদণ্ড এবং অন্যান্য সংবেদনশীল টিস্যুকে সুরক্ষিত রাখে: জলশূন্যতা মস্তিষ্কের গঠন এবং কার্যকারিতাকে প্রভাবিত করতে পারে। এটি হরমোন এবং নিউরোট্রান্সমিটার উৎপাদনেও জড়িত। দীর্ঘস্থায়ী জলশূন্যতা চিন্তা এবং যুক্তি করার সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।

৬. শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে (Water):

শরীর গরম হলে ত্বকের মাঝের স্তরগুলিতে জমা জল ঘাম হিসাবে ত্বকের উপরিভাগে আসে। এটি বাষ্পীভূত হওয়ার সাথে সাথে শরীরকে ঠান্ডা করে। খেলাধুলার ক্ষেত্রে কিছু বিজ্ঞানী পরামর্শ দিয়েছেন যে শরীরে খুব কম জল থাকলে তাপ সঞ্চয় বৃদ্ধি পায় এবং ব্যক্তি তাপের চাপ সহ্য করতে পারে না। শরীরে প্রচুর পরিমাণে জল থাকলে ব্যায়ামের সময় তাপজনিত চাপ হলে শারীরিক চাপ কমতে পারে। তবে এই প্রভাবগুলি নিয়ে আরও গবেষণার প্রয়োজন।

৭. পাকস্থলী স্বাভাবিক কাজের জন্য জলের উপর নির্ভরশীল: অন্ত্রের সঠিক কাজের জন্য জল প্রয়োজন। জলশূন্যতা হজমের সমস্যা, কোষ্ঠকাঠিন্য এবং অতিরিক্ত অ্যাসিডিক পাকস্থলীতে পরিণত হতে পারে। এটি হার্টবার্ন এবং পাকস্থলীর আলসারের ঝুঁকি বাড়ায়।

৮. শরীরের বর্জ্য পদার্থ নিষ্কাশন করে: ঘাম এবং প্রস্রাব ও মল নিষ্কাশনের প্রক্রিয়ায় জল প্রয়োজন।

৯. রক্তচাপ বজায় রাখতে সাহায্য করে: জলের অভাব রক্তকে ঘন করে তুলতে পারে, যার ফলে রক্তচাপ বৃদ্ধি পায়।

১০. শ্বাসনালীকে প্রয়োজনীয় সহায়তা দেয়: পানিশূন্যতার সময় শরীর জলের ক্ষয় কমাতে শ্বাসনালীকে সঙ্কীর্ণ করে দেয়। এটি অ্যাস্থমা এবং অ্যালার্জিকে আরও খারাপ করতে পারে।

১১. খনিজ পদার্থ এবং পুষ্টি উপাদানগুলিকে সহজলভ্য করে: এগুলি জলে দ্রবণীয়, যা এগুলিকে শরীরের বিভিন্ন অংশে পৌঁছাতে সক্ষম করে।

১২. কিডনির ক্ষতি প্রতিরোধ করে:

জল কিডনিকে প্রস্রাবের আকারে রক্ত থেকে বর্জ্য অপসারণ করতে সাহায্য করে। হাইড্রেটেড থাকা আপনার রক্তনালীগুলিকেও খুলে দেয়, যার ফলে রক্তকে কিডনিতে অবাধে ভ্রমণ করতে সাহায্য করে এবং প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করে।

১৩. ব্যায়ামের সময় পারফরম্যান্স বাড়ায়: এই বিষয়ে আরও গবেষণার প্রয়োজন, তবে একটি পর্যালোচনায় দেখা গেছে যে ৩০ মিনিটের বেশি সময় ধরে চলা কার্যকলাপে জলশূন্যতা কর্মক্ষমতা কমায়।

১৪. ওজন কমাতে সাহায্য করে: যদি মিষ্টি রস এবং সোডার পরিবর্তে জল পান করা হয় তবে জল ওজন কমাতেও সাহায্য করতে পারে। খাবার খাওয়ার আগে জল পান করে পেট ভর্তি করে অতিরিক্ত খাওয়া প্রতিরোধ করা যায়।

১৫. হ্যাংওভারের সম্ভাবনা কমায়: পার্টি করার সময় বরফ ও লেবুযুক্ত মিষ্টি সোডা জলকে অ্যালকোহলযুক্ত পানীয়ের সাথে বিকল্প হিসাবে ব্যবহার করলে অতিরিক্ত অ্যালকোহল গ্রহণ প্রতিরোধ করতে পারে।

আরো পড়ুন: পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের রূপান্তর: একটি অভূতপূর্ব গবেষণা

Join Our WhatsApp Group For New Update
RELATED ARTICLES

1 COMMENT

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

spot_img

সবচেয়ে জনপ্রিয়