Water Lotus Now Blooms on Land: অবাক কাণ্ড বললেও কম! এত দিন জলের বুকে ঝলমল করতে দেখা যেত যে পদ্ম ফুল, সেই ফুলই এখন হাসছে ডাঙায়! হ্যাঁ, ঠিকই শুনেছেন। জলের পদ্মকে মাটিতে ফুটিয়ে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছেন মুর্শিদাবাদের রেজিনগরের এক তরুণ। নিজামুদ্দিন শেখ নামের এই যুবক তাঁর উদ্ভাবনী চিন্তাভাবনা দিয়ে রীতিমতো তাক লাগিয়ে দিয়েছেন সকলকে।
রেজিনগরের দাদাপুরে তাঁর তরুছায়া নার্সারিতে এখন শোভা পাচ্ছে সারি সারি সাদা রঙের পদ্ম ফুল। কিছু গাছে ফুল ফুটেছে, আবার কিছু গাছে উঁকি দিচ্ছে কলি। তীব্র দাবদাহ উপেক্ষা করে নিজামুদ্দিন অক্লান্ত পরিশ্রম করে চলেছেন এই ব্যতিক্রমী পদ্ম বাগানকে বাঁচিয়ে রাখতে। তাঁর এই আশ্চর্য কীর্তি দেখতে ভিড় জমাচ্ছেন বহু মানুষ।
জলপদ্ম এখন জমিতে ফুটেছে:
নিজামুদ্দিন জানান, গ্রীষ্মকালে পদ্ম গাছ বাঁচানো বেশ কঠিন। তার ওপর জলের গাছকে স্থলে চাষ করা আরও বেশি চ্যালেঞ্জিং। মাটি তৈরি থেকে শুরু করে নিয়মিত পরিচর্যা – কোনো কিছুতে সামান্য ত্রুটি হলেই সব চেষ্টা ব্যর্থ হয়ে যেতে পারে। তবে আগামী দিনে পদ্মের সরবরাহ বজায় রাখতেই তাঁর এই অভিনব উদ্যোগ।
শুধু ফুল ফোটানোই নয়, চারা তৈরি এবং পদ্মের কন্দ বিক্রি করেও অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হচ্ছেন নিজামুদ্দিন। দুর্গাপূজা সহ বিভিন্ন দেবীর আরাধনায় পদ্ম ফুলের অপরিহার্যতা রয়েছে। সাধারণত এই সময় পুকুর বা দিঘি থেকে পদ্ম ফুল সংগ্রহ করতে গিয়ে চাষিদের নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। তবে নিজামুদ্দিনের এই প্রচেষ্টা সেই সমস্যার সমাধান করতে পারে। এখন থেকে যে কেউ চাইলে বাড়ির উঠোনে বা বাগানেও পদ্ম চাষ করতে পারবেন।
নিজামুদ্দিনের এই অভাবনীয় সাফল্য শুধু তাঁকে নয়, গোটা এলাকার মানুষকে নতুন করে স্বপ্ন দেখাচ্ছে। জলের পদ্ম ডাঙায় ফুটিয়ে তিনি প্রমাণ করেছেন, ইচ্ছাশক্তি আর উদ্ভাবনী চিন্তা থাকলে যেকোনো কঠিন কাজও সম্ভব। তাঁর এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিঃসন্দেহে পদ্ম চাষের ক্ষেত্রে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করল।
আরও পড়ুন: এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত: বিশ্ব মঞ্চে সম্মানিত আমাদের সভাপতি শ্রী মলয় পীট