Uganda: ১৯৯৮ সালে আইসিসির অ্যাসোসিয়েট সদস্য হওয়ার পর ২৬ বছর অপেক্ষার পর অবশেষে স্বপ্ন পূরণ হল উগান্ডার। গত ডিসেম্বরে জিম্বাবোয়েকে হারিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে (ICC T20 World Cup) খেলার টিকিট জোগাড় করে নিয়েছে আফ্রিকার পূর্ব ভাগের এই দেশ।
অসাধ্য সাধন:
গত চার বছরে আকর্ষণীয় ক্রিকেট খেলেছে উগান্ডা। ৮৭টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচের মধ্যে ৬৬টি জিতেছে তারা। অ্যাসোসিয়েট দেশ হিসেবে এটা অন্তত চমকদার।
কঠিন পরিস্থিতি:
কিন্তু সেখানে আজও সব স্তরে বয়সভিত্তিক দল নেই, প্র্যাকটিসের জন্য উপযুক্ত মাঠের সংখ্যাও হাতে গোনা। এই অসুবিধা সত্ত্বেও বিশ্বকাপে উঠে এসেছে উগান্ডা। কাম্পালা থেকে উঠে আসা জুমা মিয়াগির বোলিংয়ে ভরসা রাখবে ‘ক্রিকেট ক্রেনস’রা। বস্তির অসহ্য জীবনযাত্রার মধ্যে বড় হয়ে ওঠা এই বোলারের ২১ ম্যাচে ৩৪ উইকেট।
ভারতীয় কোচ অবাক (Uganda):
এই পরিস্থিতি থেকে উঠে এসে ক্রিকেটকে আঁকড়ে ধরা দেখে অবাক হয়েছিলেন উগান্ডার ভারতীয় কোচ অভয় শর্মা।
আলপেশ রামজানির গল্প:
ভারতীয়দের কথা বলতে গেলে আলপেশ রামজানির কথা বলা যায়। একসময় মুম্বইয়ে ক্রিকেট খেলেছেন শিবম দুবের মতো তারকার সঙ্গে। রিজভি দলে সরফরাজ খান, পৃথ্বী শ-র অধিনায়ক ছিলেন। তার পর ছেদ পড়ে ক্রিকেট জীবনে। চাকরি করে দিব্যি চলছিল। কোভিডের সময় ভাগ্যের চাকা সম্পূর্ণ বদলে গেল। চাকরি হারিয়ে তখন আলপেশ অসহায়। বন্ধু ও সতীর্থ দীনেশ নাকরানির ডাকে চলে গেলেন উগান্ডায়। সেখান থেকেই বিশ্বকাপের মঞ্চে উঠে এসেছে উগান্ডা।
লক্ষ্য (Uganda):
আফগানিস্তান, নিউজিল্যান্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজের মতো দল রয়েছে তাদের গ্রুপে। পরের পর্বে যাওয়া অসম্ভবই বলা যায়। তাহলে কোন লক্ষ্য নিয়ে নামবে তারা? গোটা দেশের দায়িত্ব তাদের কাঁধে। ভালো ক্রিকেট তো বটেই। সেই সঙ্গে ক্রিকেটবিশ্বে উত্থান ঘটাতে চায় আফ্রিকার নিজস্ব পরিচিতিতে।
আরো পড়ুন: বিশ্ব পরিবেশ দিবস ও আমরা