Tripura Knowledge City- অভিনব উদ্যোগ নিলেন প্রস্তাবিত ত্রিপুরা শান্তিনিকেতন মেডিকেল কলেজ কতৃপক্ষ। ত্রিপুরায় নলেজ সিটির অংশ হিসাবে একটি কালচারাল একাডেমী গড়ে তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। রবীন্দ্র জন্মজয়ন্তীতে যার সূচনা হতে চলেছে।
- শুক্রবার সন্ধ্যায় আগরতলা প্রেস ক্লাবে এক অনুষ্ঠানে এই কথা জানান সংস্থার সভাপতি মলয় পীট।
বর্তমানে উচ্চ শিক্ষার জন্য হোক বা কর্মের সন্ধানে – রাজ্যের যুব শক্তিকে আজ রাজ্যের বাইরে, এমনকি দেশের বাইরে যেতে হচ্ছে। তাদের প্রত্যাশা পূরণ হবে না জেনে বা ভেবে তারা আর রাজ্যে ফিরে আসছে না। সঠিক পরিকাঠামো তৈরি করে এই বিপুল মানব সম্পদকে রাজ্যে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নিতেই রাজ্য সরকারের সাথে সহমতের ভিত্তিতে ত্রিপুরায় একটি “ত্রিপুরা নলেজ সিটি” গড়ে তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই বিশাল জনমুখী প্রকল্পের রূপরেখা (মাস্টার প্ল্যান) ঠিক করার জন্য আগামী .৭ই মে ২০২৪, মঙ্গলবার বিকাল ৩টে থেকে প্রস্তাবিত ত্রিপুরা শান্তিনিকেতন মেডিকেল কলেজে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। এই প্রকল্প রুপায়নে মহিলা উদ্যোগপতিদের এগিয়ে আসার আহ্বানও জানানো হয়।
এই প্রকল্পের মাধ্যমে ত্রিপুরায় বিভিন্ন কর্মদক্ষ ব্যক্তিদের ফিরিয়ে আনা ও তাদেরকে স্ব-নিয়োজিত হতে পারার সুযোগ দেওয়ার লক্ষ্য গ্রহণ করা হবে। এই আলোচনা সভায় ত্রিপুরা নলেজ সিটি প্রকল্প রূপায়নের জন্য সঠিক পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে।
- রাজ্যের যুবকদের উচ্চশিক্ষা ও কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দেওয়ার লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠিত।
- বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, গবেষণা কেন্দ্র, IT পার্ক, এবং শিল্প প্রতিষ্ঠান এই নলেজ সিটিতে স্থাপন করা হবে।
- রাজ্যের বিপুল মানব সম্পদকে কাজে লাগিয়ে ত্রিপুরাকে উন্নত ও সমৃদ্ধ রাষ্ট্রে পরিণত করাই এই প্রকল্পের মূল লক্ষ্য।
- ৭ই মে ২০২৪ তারিখে প্রস্তাবিত ত্রিপুরা শান্তিনিকেতন মেডিকেল কলেজে একটি আলোচনা সভায় এই প্রকল্পের রূপরেখা (মাস্টার প্ল্যান) চূড়ান্ত করা হবে।
আগামী ২৫শে বৈশাখ (৮ই মে ২০২৪), বুধবার বিকাল ৩টের সময় – কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্ম জয়ন্তীতে সুষ্ঠু সংস্কৃতি চর্চা, গবেষণা ও বিকাশের লক্ষ্যে গঠিত – কালচারাল একাডেমীর শুভ সূচনা করা হবে। এর আগে ওইদিন সকালে আগরতলার রবীন্দ্র ভবন থেকে, বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনকে সঙ্গে নিয়ে একটি প্রভাত ফেরী করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
নলেজ সিটি ও শান্তিনিকেতন কালচারাল একাডেমী: রাজ্যের যুব সম্পদকে ফিরিয়ে আনার অভিনব উদ্যোগ (Tripura Knowledge City) –
ত্রিপুরা শান্তিনিকেতন মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ রাজ্যে জ্ঞান ও সংস্কৃতির প্রসারের লক্ষ্যে দুটি অভিনব উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। ত্রিপুরা নলেজ সিটি এবং ত্রিপুরা শান্তিনিকেতন কালচারাল একাডেমী এই দুটি প্রকল্প রাজ্যের যুব সম্পদকে ফিরিয়ে আনার এবং তাদেরকে রাজ্যেই কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দেওয়ার লক্ষ্যে গড়ে তোলা হচ্ছে।
- মলয় বাবু জানান, ত্রিপুরা নলেজ সিটির অংশ হিসাবে এই কালচারাল একাডেমীর প্রস্তাবিত নাম – ত্রিপুরা শান্তিনিকেতন কালচারাল একাডেমী। এটি একটি সাংস্কৃতিক ফোরাম। প্রত্যেক সংস্থা অবশ্যই নিজেদের মতো করে সাংস্কৃতিক চর্চা করবেন। এই কালচারাল একাডেমীর মাধ্যমে কি ভাবে সাংস্কৃতিক বিকাশ করা সম্ভব, কি ভাবে সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রের উন্নয়ন করা যায় – তার রূপরেখা যেমন করা হবে, সেভাবেই সাংস্কৃতিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রের নানা শাখায় গবেষণা করা হবে।
- শুক্রবারের বৈঠকে নলেজ সিটির মাস্টার প্ল্যান ও কালচারাল একাডেমী বিষয়ে সাম্যক ধারণা দেওয়া হয় ও আগামী ৭ ও ৮ মে ২০২৪ প্রস্তাবিত ত্রিপুরা শান্তিনিকেতন মেডিকেল কলেজের লেকচার হল – ২ তে এই বিষয়ে চূড়ান্ত রূপরেখা করা হবে।
- এদিনের সভায় বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত প্রখ্যাত শিল্পী, সাংবাদিক সহ সমাজের বিশিষ্টজনেরা উপস্থিত ছিলেন।
আরো পড়ুন: ত্রিপুরা নলেজ সিটিতে কালচারাল একাডেমী প্রতিষ্ঠা: সংস্কৃতি চর্চা, গবেষণা ও বিকাশের এক নব দিগন্ত