Sub Junior Kabaddi National Selection Trials: গত রবিবার, আগরতলা এন এস আর সিসিতে অনুষ্ঠিত হলো সাব জুনিয়র কাবাডি ন্যাশনাল সিলেকশন ট্রায়াল, যেখানে ছেলে ও মেয়েদের জন্য কাবাডি খেলার এক অনবদ্য আয়োজন করা হয়। এই আয়োজনটি ছিল কাবাডি খেলোয়াড়দের জন্য একটি বিশাল সুযোগ, যেখানে তারা তাদের দক্ষতা প্রদর্শন করতে এবং জাতীয় পর্যায়ে প্রতিনিধিত্ব করার জন্য নির্বাচন হওয়ার জন্য লড়াই করেছিল।
এ বছর প্রথমবারের মতো এই ট্রায়ালটি আগরতলায় আয়োজন করা হয়েছিল, যা স্থানীয় কাবাডি প্রেমী ও খেলোয়াড়দের জন্য বিশেষ গুরুত্ব বহন করেছিল। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন জেলা থেকে প্রায় ৩০০ জন প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করেছিলেন, যারা নিজেদের শারীরিক সক্ষমতা, কৌশলগত চিন্তা, এবং দলের সাথে সমন্বয় সাধনে দক্ষতা প্রমাণ করেছিলেন।
কাবাডির প্রতি আগ্রহ এবং চ্যালেঞ্জ
কাবাডি ভারতের অন্যতম জনপ্রিয় এবং প্রাচীন খেলা, যা শারীরিক ও মানসিক দিক থেকে চরম পরীক্ষা নেয়। গত কিছু বছরে কাবাডির প্রতি আগ্রহ বেড়েছে, বিশেষ করে যুব সমাজের মধ্যে। এর কারণ, কাবাডি শুধু একটি খেলা নয়, এটি শক্তি, সহনশীলতা এবং দলগত মনোভাবের প্রতীক। যেহেতু কাবাডি জাতীয় দলে খেলার জন্য প্রতিযোগী নির্বাচন করা হচ্ছে, তাই এটি স্থানীয় খেলোয়াড়দের জন্য বড় ধরনের সুযোগ।
কাবাডি খেলার সঙ্গে যুক্ত প্রতিযোগিতামূলক মানসিকতা, দৃষ্টিশক্তি এবং শারীরিক শক্তির প্রয়োজন, যা প্রত্যেক খেলোয়াড়কেই প্রমাণ করতে হয়। আগরতলার ট্রায়ালে ছেলে-মেয়ে উভয়ই তাদের বেস্ট পারফর্ম্যান্স দিতে যথাসাধ্য চেষ্টা করেছিলেন। এই ট্রায়ালে অংশগ্রহণকারী খেলোয়াড়দের প্রতিযোগিতা ছিল এক অন্যরকম মানসিক চ্যালেঞ্জ।
প্রতিযোগীদের প্রস্তুতি (Sub Junior Kabaddi National)
সিলেকশন ট্রায়ালের জন্য প্রতিযোগীরা অনেক দিন ধরে প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। বিশেষ করে যারা প্রথমবার ট্রায়ালে অংশগ্রহণ করছিলেন, তাদের জন্য এটা ছিল একটি বড় সুযোগ। তারা কোচদের কাছ থেকে কাবাডির বিভিন্ন কৌশল শিখেছিলেন, যেমন শক্তি, সঠিক সময়ের মধ্যে আক্রমণ এবং প্রতিপক্ষের গতির সঙ্গে খাপ খাইয়ে খেলা।
কিছু খেলোয়াড় আবার স্থানীয় প্রতিযোগিতাগুলোতে অংশগ্রহণের মাধ্যমে নিজেদের পরিশ্রমের ফল পেতে চেয়েছিলেন। কাবাডি প্রশিক্ষকরা তাদের প্রতি আশাবাদী ছিলেন, এবং সিলেকশনের আগে এই খেলোয়াড়দের মানসিক প্রস্তুতি নিয়েও আলোচনা করা হয়েছিল।
মেয়ে খেলোয়াড়দের অংশগ্রহণ
এ বছর সিলেকশন ট্রায়ালে মেয়ে খেলোয়াড়দের উপস্থিতি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য ছিল। কাবাডির মতো পুরুষ dominate খেলার মধ্যে মেয়েরা এখন সমানভাবে নিজেদের শক্তি এবং দক্ষতা প্রমাণ করছে। আগরতলার সিলেকশন ট্রায়ালেও দেখা গিয়েছে, কাবাডির প্রতি মেয়েদের আগ্রহ আগের তুলনায় অনেক বেশি। তারা সমানভাবে প্রতিযোগিতা করে দলগত মনোভাব এবং শারীরিক সক্ষমতায় নিজেকে প্রমাণ করেছে।
সিলেকশন ট্রায়ালের চিত্র
সিলেকশন ট্রায়াল শুরু হয় সকাল ৮ টায়, যেখানে প্রথমে প্রস্তুতিমূলক warm-up সেশন অনুষ্ঠিত হয়। তারপর শুরু হয় প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ। প্রত্যেকটি ম্যাচেই ছিল প্রচণ্ড প্রতিদ্বন্দ্বিতা এবং জয়ের তীব্র ইচ্ছা। কিছু খেলোয়াড় নিজেদের দক্ষতা প্রদর্শন করতে গিয়ে একের পর এক অসাধারণ কৌশল ও শারীরিক শক্তির প্রদর্শন করছিলেন। কোচরা তৎক্ষণাৎ তাদের খেলা বিশ্লেষণ করে প্রত্যেক খেলোয়াড়ের শক্তি এবং দুর্বলতা চিহ্নিত করছিলেন। ম্যাচ শেষে, খেলোয়াড়দের ফিটনেস এবং কৌশলগত উন্নতির বিষয়েও আলোচনা করা হয়।
ভবিষ্যতের জন্য দৃষ্টিপাত
কাবাডির প্রতি আগ্রহ এবং প্রশিক্ষণের মান দিন দিন বাড়ছে। এই ট্রায়ালগুলো আসন্ন জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। প্রতিযোগীরা এখন অনেক বেশি সিরিয়াস এবং মনোযোগী কাবাডির খেলায়। তারা জানে যে, শুধুমাত্র শারীরিক শক্তি নয়, কৌশলগত চিন্তাভাবনাও গুরুত্বপূর্ণ। আর তাই, এই সিলেকশনে অংশগ্রহণকারী প্রতিযোগীরা তাদের অভিজ্ঞতা থেকে অনেক কিছু শিখেছেন যা তাদের ভবিষ্যতের জন্য অত্যন্ত সহায়ক হবে।
উপসংহার
আগরতলার সাব জুনিয়র কাবাডি ন্যাশনাল সিলেকশন ট্রায়াল একটি সফল এবং উত্তেজনাপূর্ণ আয়োজন ছিল, যা প্রমাণ করেছে কাবাডির প্রতি আগ্রহ বাড়ছে এবং নতুন প্রজন্মের খেলোয়াড়রা এই খেলায় নিজেদের দক্ষতা প্রমাণ করতে প্রস্তুত। এই ট্রায়ালে অংশগ্রহণকারী প্রতিযোগীরা অনেক কিছু শিখেছে এবং জাতীয় স্তরে নিজেদের দক্ষতা প্রমাণ করার জন্য তারা এখন আরও প্রস্তুত। জাতীয় পর্যায়ে কাবাডি খেলোয়াড়দের উন্নতির জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: বিশ্রামগঞ্জ মিনি স্টেডিয়ামে ত্রিপুরা গ্রামীণ জীবিকা মিশনের উদ্যোগে দ্বিতীয় সরস মেলার শুভ সূচনা
[…] […]