Positive বার্তা (বাংলা)

A teamwork initiative of Enthusiastic people using Social Media Platforms

Homeব্লগআগরতলায় প্রথমবার রঙালী বিহু: ইতিবাচক বার্তা’র উদ্যোগে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন

আগরতলায় প্রথমবার রঙালী বিহু: ইতিবাচক বার্তা’র উদ্যোগে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন

এই বছর আগরতলার মাটি এক নতুন রঙে রাঙা হয়ে উঠল। প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হল রঙালী বিহু, যা ত্রিপুরার সংস্কৃতিতে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করল। ইতিবাচক বার্তা নামক এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার উদ্যোগে এই উৎসব আয়োজিত হওয়ায় এর তাৎপর্য আরও বেড়ে যায়।

রঙালী বিহু, যা মূলত আসামের একটি ঐতিহ্যপূর্ণ উৎসব, বসন্তের আগমন এবং নতুন বছরের সূচনার প্রতীক। এই উৎসবের মূল সুর আনন্দ ও উল্লাস। গান, নাচ, ঐতিহ্যবাহী খাবার এবং বিভিন্ন ধরনের লোকক্রীড়ার মাধ্যমে এই উৎসব উদযাপিত হয়। আগরতলার বুকে এই উৎসবের প্রথম পদার্পণ নিঃসন্দেহে এখানকার সংস্কৃতিপ্রেমী মানুষের মনে এক নতুন উদ্দীপনার সঞ্চার করেছে।

ইতিবাচক বার্তা, যারা সমাজের বিভিন্ন ইতিবাচক পরিবর্তন আনার লক্ষ্যে কাজ করে চলেছে, তাদের এই উদ্যোগ বিশেষভাবে প্রশংসার যোগ্য। একটি ভিন্ন রাজ্যের সংস্কৃতিকে নিজেদের শহরে তুলে ধরে তারা শুধু সাংস্কৃতিক মেলবন্ধনেরই সূচনা করেনি, বরং মানুষের মধ্যে সম্প্রীতি ও ভালোবাসার বার্তা পৌঁছে দিয়েছে।

উৎসবের দিন আগরতলার পরিবেশ ছিল মুখরিত। ঐতিহ্যবাহী পোশাকে সেজে উঠেছিল আবালবৃদ্ধবনিতা। বিহু নৃত্য এবং বিহু গীতের মনোমুগ্ধকর পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছিল। বিভিন্ন ধরনের হস্তশিল্প ও স্থানীয় খাবারের স্টলগুলিতে ছিল উপচে পড়া ভিড়। এই প্রথমবার আগরতলার মানুষজন রঙালী বিহুর ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি সম্পর্কে সরাসরি অবগত হওয়ার সুযোগ পেলেন।

এই প্রসঙ্গে ইতিবাচক বার্তা’র এক সদস্য জানালেন, “আমাদের মূল উদ্দেশ্যই হল সমাজের মধ্যে ইতিবাচক চিন্তাভাবনার প্রসার ঘটানো। সংস্কৃতি মানুষের মনকে এক সূত্রে বাঁধতে পারে। রঙালী বিহু শুধু একটি উৎসব নয়, এটি আনন্দ, প্রেম ও নতুন শুরুর বার্তা নিয়ে আসে। আমরা আনন্দিত যে আগরতলার মানুষজন এত উৎসাহের সাথে এই উৎসবকে গ্রহণ করেছেন।”

আয়োজকদের আন্তরিক প্রচেষ্টা এবং আগরতলার মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ প্রমাণ করে যে সংস্কৃতি কোনও নির্দিষ্ট অঞ্চলের গণ্ডিতে আবদ্ধ থাকতে পারে না। এই ধরনের উৎসবগুলি বিভিন্ন সংস্কৃতিকে একে অপরের কাছে আসার সুযোগ করে দেয় এবং জাতীয় ঐক্যকে আরও সুদৃঢ় করে।

আগরতলার বুকে প্রথম রঙালী বিহুর এই উদযাপন নিঃসন্দেহে এক নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করল। ইতিবাচক বার্তা’র এই উদ্যোগ আগামী বছরগুলিতেও অব্যাহত থাকবে এবং আগরতলার মানুষজন প্রতি বছর এই আনন্দময় উৎসবের সাক্ষী থাকবেন, এমনটাই আশা করা যায়। এই উৎসব শুধু আনন্দই দেবে না, বরং দুই প্রতিবেশী রাজ্যের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের মধ্যে এক মজবুত সেতুও তৈরি করবে।

Join Our WhatsApp Group For New Update
RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

spot_img

সবচেয়ে জনপ্রিয়