Indian Army: উত্তরপ্রদেশের লখনউয়ের সরোজিনী নগরে অবস্থিত ব্রহ্মস অ্যারোস্পেস ইউনিটে প্রস্তুত হলো সুপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের প্রথম ব্যাচ। ১৮ অক্টোবর, শনিবার ধনতেরসের শুভ দিনে এই ব্যাচের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ও ডেলিভারি অনুষ্ঠিত হয়। এর ফলে ভারতীয় সেনার প্রতিরক্ষা সক্ষমতা আরও বহুলাংশে বৃদ্ধি পেল।
ব্রহ্মস: সুপারসনিক শক্তির প্রতীক
ভারত ও রাশিয়ার যৌথ উদ্যোগে তৈরি ব্রহ্মস সুপারসনিক মিসাইল তার বিধ্বংসী ক্ষমতার জন্য পরিচিত। এর শক্তিশালী আঘাতের ক্ষমতা বোঝাতে ‘অপারেশন সিঁদুরের’ উদাহরণ টেনে বলা যায়, সেই সময় এটি পাকিস্তানের অন্দরমহলে বড় ধরণের আঘাত হেনেছিল এবং শত্রুপক্ষের রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছিল। এই ক্ষেপণাস্ত্রের প্রথম ব্যাচ ডেলিভারি উত্তরপ্রদেশের ‘যোগী রাজ্য’ থেকে হওয়াটা রাজ্যের জন্য একটি গর্বের বিষয়।
কারখানার বিবরণ ও উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা
প্রায় ৩০০ কোটি টাকা খরচ করে নির্মিত এই ব্রহ্মস অ্যারোস্পেস ইউনিটের প্রাথমিক লক্ষ্যমাত্রা ছিল বছরে ৮০-১০০টি মিসাইল তৈরি করা, যা পরে বাড়িয়ে বছরে ১৫০টি করা হয়েছে। এই কারখানায় শুধুমাত্র মিসাইল উৎপাদনই হয় না, একই সঙ্গে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা ও চূড়ান্ত মান নির্ণয়ের কাজও সম্পন্ন হয়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ও রপ্তানি লক্ষ্য
শনিবারের এই গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এবং দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। তাঁরা ক্ষেপণাস্ত্রের প্রথম ব্যাচের উদ্বোধন করার পাশাপাশি বুস্টার ভবনও উদ্বোধন করেন।
অনুষ্ঠান সূচিতে ছিল একাধিক প্রদর্শনী, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য— বুস্টার ডকিং প্রক্রিয়ার প্রদর্শনী, এয়ারফ্রেম এবং এভিওনিক্স, ওয়ারহেড ভবনে পিডিআই (প্রি-ডিসপ্যাচ ইন্সপেকশন), এবং ব্রহ্মস সিমুলেটর সরঞ্জাম প্রদর্শন। এছাড়াও একটি বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি, স্টোরেজ ট্রলি প্রদর্শনী, জিএসটি বিল উপস্থাপনা এবং মোবাইল অটোনোমাস লঞ্চার প্রদর্শনীও অনুষ্ঠিত হয়।
এই কারখানা শুধুমাত্র ভারতীয় সেনার জন্য মিসাইল তৈরি করছে না, বরং সমরাস্ত্র রপ্তানির মাধ্যমে বিশ্ব বাণিজ্যে নতুন বাজার তৈরি করতে ভারত সরকার বদ্ধপরিকর। এটি অস্ত্র রপ্তানিতে ভারতকে একটি শক্তিশালী প্রতিযোগী হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে সাহায্য করবে।
আরও পড়ুন: পরিবেশ রক্ষায় নজির: অযোধ্যা পাহাড়কে ‘নো-স্মোকিং ও প্লাস্টিক-মুক্ত’ এলাকা গড়ার পথে বন দফতর






[…] আরও পড়ুন: লখনউয়ের ব্রহ্মস কারখানায় প্রথম ব্যাচ… […]