Positive বার্তা (বাংলা)

A teamwork initiative of Enthusiastic people using Social Media Platforms

Homeব্লগপৃথিবীর গভীরে লুকিয়ে থাকা দানব পর্বত: এভারেস্টের চেয়ে ১০০ গুণ বড়

পৃথিবীর গভীরে লুকিয়ে থাকা দানব পর্বত: এভারেস্টের চেয়ে ১০০ গুণ বড়

Beneath Our Feet: আমরা সকলেই জানি, বিশ্বের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ হল মাউন্ট এভারেস্ট। কিন্তু সাম্প্রতিক এক গবেষণায় এমন তথ্য উঠে এসেছে যা আমাদের ধারণাকে চ্যালেঞ্জ করেছে। বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করেছেন যে, পৃথিবীর গভীরে, আফ্রিকা এবং প্রশান্ত মহাসাগরের নিচে এমন দুটি বিশাল পর্বত রয়েছে যার উচ্চতা এভারেস্টের চেয়ে প্রায় ১০০ গুণ বেশি হতে পারে!

নেচার জার্নালে প্রকাশিত এই গবেষণা অনুসারে, এই পর্বতগুলির উচ্চতা প্রায় ১০০০ কিলোমিটার হতে পারে। অর্থাৎ, যখন আমরা এভারেস্টের ৮,৮৪৮ মিটার উচ্চতার কথা ভাবি, তখন এই নতুন আবিষ্কৃত পর্বতগুলি কতটা বিশাল তা আমরা সহজেই অনুমান করতে পারি।

কীভাবে আবিষ্কার করা হল?

ভূমিকম্পের সময় উৎপন্ন শব্দ তরঙ্গের গতিপথ বিশ্লেষণ করে বিজ্ঞানীরা এই আবিষ্কার করেছেন। ‘আউট অফ টোন’ নামক একটি পদ্ধতির মাধ্যমে তারা পৃথিবীর ভূগর্ভের একটি খসড়া মানচিত্র তৈরি করেছেন। এই মানচিত্রে দেখা যায় যে, এই পর্বতগুলির অবস্থানে ভূমিকম্পের তরঙ্গের গতি অন্য স্থানের তুলনায় অনেক কম। এর কারণ হল, এই পর্বতগুলি আশেপাশের টেকটোনিক প্লেটের তুলনায় অনেক বেশি ঘন এবং গরম।

কীভাবে তৈরি হয়েছিল এই পর্বতগুলি?

বিজ্ঞানীদের মতে, এই পর্বতগুলি সাবডাকশন পদ্ধতির মাধ্যমে তৈরি হয়েছে। এই পদ্ধতিতে একটি টেকটোনিক প্লেট অন্য একটি প্লেটের নিচে ঢুকে যায় এবং পৃথিবীর গভীরে চলে যায়। এই প্রক্রিয়ায় পৃথিবীর গভীরে বিভিন্ন ধরনের ভূতাত্ত্বিক পরিবর্তন ঘটে এবং এই পর্বতগুলির সৃষ্টি হয়।

কেন এই আবিষ্কার গুরুত্বপূর্ণ?

এই আবিষ্কার পৃথিবীর অভ্যন্তরের গঠন এবং ভূমিকম্পের কারণ সম্পর্কে আমাদের বোঝার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। এছাড়াও, এই আবিষ্কার ভবিষ্যতে ভূমিকম্পের পূর্বাভাস দেওয়ার ক্ষেত্রেও সাহায্য করতে পারে।

আগামী পথ:

বিজ্ঞানীরা এখনও এই পর্বতগুলি সম্পর্কে আরও অনেক কিছু জানতে চান। তারা এই পর্বতগুলির বয়স, আকার এবং গঠন সম্পর্কে আরও বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করার চেষ্টা করছেন। এই গবেষণা পৃথিবী বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে একটি নতুন দিগন্তের দ্বার উন্মুক্ত করেছে।

সারসংক্ষেপ:

পৃথিবীর গভীরে লুকিয়ে থাকা এই বিশাল পর্বতগুলি আমাদের পৃথিবী সম্পর্কে আমাদের ধারণাকে বদলে দিয়েছে। এই আবিষ্কার বিজ্ঞানীদের জন্য একটি নতুন গবেষণার ক্ষেত্র খুলে দিয়েছে এবং ভবিষ্যতে পৃথিবী সম্পর্কে আমাদের জ্ঞান আরও বাড়াতে সাহায্য করবে।

আরও পড়ুন: গুড় চা: শীতের সকালের সেরা বন্ধু!

Join Our WhatsApp Group For New Update
RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

spot_img

সবচেয়ে জনপ্রিয়