Aboldtabol Centenary Celebration: হাওড়ার ব্যাটরা পাবলিক লাইব্রেরি শিক্ষানিকেতন, একসময় প্রায় ৬০০ ছাত্রছাত্রীর কলরবে মুখর ছিল যে স্কুল, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তা জৌলুস হারাতে বসেছিল। ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা কমে গিয়েছিল মাত্র ১০ জনে, বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছিল বিদ্যালয়টির। কিন্তু এমন সংকটের মুহূর্তে অভিনব এক উদ্যোগ নিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। আর সেই উদ্যোগের মূল অনুপ্রেরণা সুকুমার রায়ের অমর সৃষ্টি ‘আবোল তাবোল’।
সুকুমার রায়ের বিখ্যাত এই ছড়া সংকলনের শতবর্ষ উদ্যাপন উপলক্ষে বিদ্যালয়টিকে সম্পূর্ণ নতুন রূপে সাজানো হয়েছে। শিশুদের মধ্যে বাংলা ছড়া ও কবিতার প্রতি আগ্রহ বাড়াতে পুরো স্কুলকেই নিয়ে আসা হয়েছে ‘আবোল তাবোলে’র আবহে। প্রতিটি শ্রেণিকক্ষের নামকরণ করা হয়েছে সুকুমার রায়ের ছড়ার নামে, যেমন ‘খিচুড়ি’, ‘ষাঁড় ও দারোয়ান’, ‘বাবুরাম সাপুড়ে’ ইত্যাদি। শুধু তাই নয়, শ্রেণিকক্ষের দেওয়ালে আঁকা হয়েছে সেইসব ছড়ার রঙিন ছবি, যা শিশুদের মনে এক নতুন আনন্দ আর আকর্ষণ তৈরি করছে।
প্রধানশিক্ষিকা অর্পিতা ঘোষ জানান, স্কুলের এই খারাপ সময়ে শিক্ষক-শিক্ষিকা ও প্রাক্তন ছাত্রছাত্রীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাঁদের সন্তানদের এই স্কুলে ভর্তি করানোর জন্য অনুরোধ করেন। তাদের এই সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফল মিলেছে। বর্তমানে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা আবার বাড়তে শুরু করেছে। স্কুলের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন রাজ্যের খাদ্যপ্রক্রিয়াকরণ মন্ত্রী অরূপ রায়, যিনি এই উদ্যাপন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
হাওড়ার এই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এই পদক্ষেপ শুধু একটি স্কুলকে বাঁচানো নয়, এটি বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতির প্রতি নতুন প্রজন্মের আগ্রহ বাড়ানোর একটি সফল উদাহরণও বটে। এটি প্রমাণ করে যে সৃজনশীলতা আর ভালোবাসার মিশেলে যেকোনো সংকট থেকে বেরিয়ে আসা সম্ভব।
আরও পড়ুন: পশ্চিম বর্ধমানের দুর্গাপুরে মুচিপাড়া ফুটবল ময়দানে উৎসবের আমেজ
[…] […]
[…] […]