Dishant Basu: দক্ষিণ কলকাতার বাঁশদ্রোণীর বাসিন্দা দিশান্ত বসু ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউটস অফ সায়েন্স এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ (আইআইএসইআর) আয়োজিত আইসার অ্যাপ্টিটিউড টেস্ট (আইএটি)-এ প্রথম স্থান দখল করে নিয়েছেন, যা তাঁর অসাধারণ মেধা এবং অধ্যবসায়েরই ফল। এই জাতীয় স্তরের পরীক্ষায় তিনি ২৪০-এর মধ্যে সম্পূর্ণ ২৪০ নম্বর পেয়ে এক বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।
দিশান্তের এই সাফল্য শুধু তাঁর ব্যক্তিগত নয়, গোটা বাংলার জন্যই গর্বের। বাবা একজন চিকিৎসক এবং মা ইন্টেরিয়র ডিজাইনার, তাঁদের পরিবারে ছোট বোনকেও নিয়ে চারজনের এই সংসার এখন দিশান্তের সাফল্যে আনন্দিত। ছেলের স্বপ্ন পূরণে তাঁরা বরাবরই পাশে থাকার অঙ্গীকার করেছেন।
ছোটবেলা থেকেই দিল্লি পাবলিক স্কুল, রুবি পার্কে পড়াশোনা করা দিশান্ত একজন মেধাবী ছাত্র। সিবিএসই-এর দশম শ্রেণিতে তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ছিল ৯৮.৪ শতাংশ এবং দ্বাদশ শ্রেণিতে ৯৬.৪ শতাংশ। বরাবরই বিজ্ঞান গবেষণার প্রতি তাঁর বিশেষ ঝোঁক ছিল, আর এই গভীর আগ্রহই তাঁকে আজকের এই শিখরে পৌঁছে দিয়েছে।
দিশান্ত জানিয়েছেন, আইএটি পরীক্ষার জন্য তাঁকে আলাদা করে কোনো প্রস্তুতি নিতে হয়নি। জয়েন্ট এন্ট্রান্স এগজামিনেশন মেন, জয়েন্ট এন্ট্রান্স এগজামিনেশন অ্যাডভান্সড এবং নিট-এর প্রস্তুতির সময়ই আইএটি-এর প্রস্তুতি হয়ে গিয়েছিল। পড়াশোনার জন্য কোনো নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দেননি তিনি; বরং সারাদিনই পড়াশোনার মধ্যে ডুবে থাকতেন। তবে অবসরে রং তুলি দিয়ে আঁকতে ভালোবাসেন তিনি, যা তাঁর বিজ্ঞানচর্চার মতোই পছন্দের একটি বিষয়।
দিশান্তের ভবিষ্যৎ স্বপ্ন হলো বেঙ্গালুরুর ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স থেকে পদার্থবিদ্যা নিয়ে গবেষণা করা। তাঁর এই সাফল্য নিঃসন্দেহে আগামী প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের জন্য অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে।
আরও পড়ুন: “শেওলা” নয়, সবুজ বিপ্লবের নায়ক: কার্বন যুদ্ধে নিঃশব্দ সৈনিক হয়ে উঠছে শহরের প্রাকৃতিক রক্ষাকবচ