Vande Bharat : সময় যত গড়াচ্ছে, রেলযাত্রীদের পছন্দের তালিকায় ততই পাকাপাকি জায়গা করে নিচ্ছে অত্যাধুনিক বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে এই ট্রেনের সংখ্যা আরও বাড়ানোর জন্য জোরালো দাবি উঠছে। যাত্রীদের সেই ক্রমবর্ধমান চাহিদার কথা মাথায় রেখে ভারতীয় রেলওয়েও দ্রুতগতিতে বন্দে ভারতের সম্প্রসারণে মনোযোগ দিয়েছে। আর এবার, সেই প্রচেষ্টায় যুক্ত হতে চলেছে এক নতুন পালক – বন্দে ভারত স্লিপার ট্রেন। দীর্ঘদিনের প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে শীঘ্রই দিল্লি এবং হাওড়াসহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ রুটে এই স্লিপার পরিষেবা চালু করার পরিকল্পনা করছে রেল।
যাত্রীদের মনে এখন একটাই প্রশ্ন – কেমন হতে পারে এই নতুন ট্রেনের সম্ভাব্য রুট? রেল সূত্রে খবর, বন্দে ভারত স্লিপার ট্রেনটি নতুন দিল্লি এবং হাওড়ার মধ্যে যাত্রা করার সময় বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনে থামতে পারে। এই স্টেশনগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল কানপুর সেন্ট্রাল, প্রয়াগরাজ জংশন, দীনদয়াল উপাধ্যায় জংশন, গয়া জংশন, ধানবাদ জংশন এবং আসানসোল জংশন। এই স্টপেজগুলি বহু যাত্রীকেই তাদের গন্তব্যে পৌঁছাতে সুবিধা দেবে বলে আশা করা যায়।
জানুন সম্ভাব্য সময়সূচী ও ভাড়া
গতি এবং সময়ের নিরিখে বন্দে ভারত স্লিপার হতে চলেছে এক নতুন মাইলফলক। সূত্রের খবর অনুযায়ী, দিল্লি এবং হাওড়ার মধ্যে ১৪৪৯ কিলোমিটারের দীর্ঘ পথ এই ট্রেনটি মাত্র ১৫ ঘণ্টারও কম সময়ে অতিক্রম করতে সক্ষম হবে। বন্দে ভারত স্লিপার ট্রেনটিকে ঘন্টায় ১৬০ কিলোমিটার গতিতে চলার জন্য বিশেষভাবে ডিজাইন করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই এই উচ্চগতিতে ট্রেনটির পরীক্ষামূলক চলাচলও সম্পন্ন হয়েছে। মনে করা হচ্ছে, একবার এই পরিষেবা পুরোদমে চালু হলে, বন্দে ভারত স্লিপার এই রুটের দ্রুততম ট্রেনে পরিণত হবে। বর্তমানে এই রুটে চলাচলকারী রাজধানী এক্সপ্রেস এবং দুরন্ত এক্সপ্রেসের চেয়েও কম সময়ে গন্তব্যে পৌঁছানো যাবে।
নিশ্চয়ই আপনার মনে ট্রেনের সময়সূচী জানার আগ্রহ জন্ম নিয়েছে। প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, বন্দে ভারত স্লিপার ট্রেনটি সম্ভবত নতুন দিল্লি স্টেশন থেকে ভোর ৫টার দিকে ছাড়তে পারে এবং সকাল ৮টার মধ্যে হাওড়া জংশনে পৌঁছানোর সম্ভাবনা রয়েছে। অন্যদিকে, ফিরতি পথে ট্রেনটি হাওড়া জংশন থেকে বিকেল ৫টা নাগাদ ছেড়ে পরের দিন সকাল ৮টা নাগাদ দিল্লিতে পৌঁছাতে পারে। তবে এই সময়সূচী এখনও চূড়ান্ত নয় এবং রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের আনুষ্ঠানিক ঘোষণার পরই এই বিষয়ে নিশ্চিতভাবে জানা যাবে।
বন্দে ভারত স্লিপার চালু হলে, দিল্লি এবং হাওড়ার মধ্যে যাতায়াতের ক্ষেত্রে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে। দ্রুত গতি, আধুনিক সুবিধা এবং আরামদায়ক স্লিপার কোচ – এই তিনটি বিষয় মিলিতভাবে যাত্রীদের এক উন্নত রেলযাত্রার অভিজ্ঞতা দেবে। এখন শুধু অপেক্ষা, কবে এই অত্যাধুনিক ট্রেনটি তার যাত্রা শুরু করে এবং লক্ষ লক্ষ যাত্রীর স্বপ্নপূরণ করে। ভাড়া এবং অন্যান্য সুযোগ সুবিধা সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্যও খুব শীঘ্রই রেল কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে জানানো হবে বলে আশা করা যায়।