Vegetarian and Vegan: ভিটামিন বি১২— শরীরের নানা কাজের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি ভিটামিন। দীর্ঘদিন ধরে বিশ্বাস করা হতো যে এই ভিটামিন মূলত মাংস, মাছ, ডিম ইত্যাদি প্রাণিজ খাবারেই পাওয়া যায়। কিন্তু আজকের বিজ্ঞানের যুগে এই ধারণা কিছুটা বদলে গিয়েছে।
দুধ ও দুগ্ধজাত পণ্য: ভিটামিন বি১২-এর একটি নির্ভরযোগ্য উৎস
গরুর দুধ: ভিটামিন বি১২-এর একটি প্রাচীন ও পরিচিত উৎস।
উদ্ভিজ দুধ: আমন্ড, সয়া, নারকেলের দুধেও এই ভিটামিন পাওয়া যায়। এটি ল্যাকটোজ ইনটলারেন্ট ব্যক্তিদের জন্য একটি দুর্দান্ত বিকল্প।
দই: দই শুধু পেটের জন্যই ভাল নয়, এতে ভিটামিন বি১২ও থাকে। বাড়িতে তৈরি দই নিয়মিত খাওয়া শরীরের বি১২ চাহিদা মেটাতে সাহায্য করতে পারে।
পনির: বিভিন্ন ধরনের পনিরে ভিটামিন বি১২ পাওয়া যায়।
মাছ ও মাংস ছাড়াও অন্যান্য উৎস
মাশরুম: বিশেষ করে শিটেক মাশরুমে ভিটামিন বি১২-এর পরিমাণ উল্লেখযোগ্য।
সুরক্ষিত শস্যদানা ও সিরিয়াল: অনেক সুরক্ষিত শস্যদানা ও সিরিয়ালে ভিটামিন বি১২ যোগ করা হয়।
সাপ্লিমেন্ট: যদি খাদ্যের মাধ্যমে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন বি১২ না পাওয়া যায়, তবে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করা যেতে পারে।
কেন ভিটামিন বি১২ গুরুত্বপূর্ণ?
রক্তের কোষ তৈরি: ভিটামিন বি১২ শরীরে রক্তের নতুন কোষ তৈরি করতে সাহায্য করে।
স্নায়ুতন্ত্রের স্বাস্থ্য: এটি স্নায়ুতন্ত্রের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
ডিএনএ সংশ্লেষণ: ভিটামিন বি১২ ডিএনএ সংশ্লেষণের জন্য প্রয়োজনীয়।
ভিটামিন বি১২-এর অভাবের লক্ষণ
- ক্লান্তি
- দুর্বলতা
- শ্বাসকষ্ট
- হাত-পা ঝিঁঝিঁ করা
- মেমোরি লস
উপসংহার:
আজকাল ভিটামিন বি১২ শুধু মাংস বা মাছ খেয়েই পাওয়া যায়, এমন ধারণা পুরোপুরি সঠিক নয়। দুধ, দই, পনির, মাশরুম, সুরক্ষিত শস্যদানা ইত্যাদি অনেক খাবারেই এই ভিটামিন পাওয়া যায়। তাই শাকসবজি খাওয়া ব্যক্তিদেরও ভিটামিন বি১২-এর অভাব হওয়ার সম্ভাবনা কম। তবে নিজের জন্য সঠিক খাদ্যতালিকা তৈরি করতে ডাক্তার বা পুষ্টিবিদের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
আরও পড়ুন: নিখিল বিশ্বকে আলোড়িত করা বিজ্ঞানী: নিকোলা টেসলার জীবন ও অবদান