Bone Loss : বয়স কালীন সমস্যা,লক্ষণ ও কারণ।হাড় ক্ষয় রোধে খাদ্যের ভূমিকা –
বয়স বাড়ার সাথে সাথে আমাদের শরীরে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে শুরু করে। এর মধ্যে অন্যতম হল হাড় ক্ষয় বা অস্টিওপোরোসিস। এই রোগে হাড় দুর্বল ও ভঙ্গুর হয়ে যায়, যার ফলে ফ্র্যাকচারের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
হাড় ক্ষয় হল এক ধরনের অবস্থা যেখানে হাড় দুর্বল এবং ভঙ্গুর হয়ে যায়। এটি একটি গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যা কারণ এটি ফ্র্যাকচারের ঝুঁকি বাড়ায়।
অস্টিওপোরোসিসের (Bone Loss)অনেকগুলি কারণ রয়েছে, এর মধ্যে রয়েছে:
- বয়স: বয়স বাড়ার সাথে সাথে, আমাদের হাড় পাতলা এবং ভঙ্গুর হয়ে যায়।
- পারিবারিক ইতিহাস: আপনার যদি অস্টিওপোরোসিসযুক্ত পরিবারের সদস্য থাকে তবে আপনার ঝুঁকি বেশি।
- লিঙ্গ: নারীদের পুরুষদের তুলনায় অস্টিওপোরোসিস হওয়ার ঝুঁকি বেশি।
- জাতি: ককেশীয় এবং এশিয়ানদের অস্টিওপোরোসিস হওয়ার ঝুঁকি বেশি।
- নির্দিষ্ট চিকিৎসা শর্ত: থাইরয়েড সমস্যা এবং রিউমাটয়েড আর্থারাইটিসের মতো কিছু চিকিৎসা শর্ত অস্টিওপোরোসিসের ঝুঁকি বাড়ায়।
- ওষুধ: স্টেরয়েড এবং কিছু ক্যান্সারের ওষুধের মতো কিছু ওষুধ অস্টিওপোরোসিসের ঝুঁকি বাড়ায়।
- জীবনধারা: ধূমপান, অ্যালকোহল পান করা এবং শারীরিকভাবে নিষ্ক্রিয় থাকা অস্টিওপোরোসিসের ঝুঁকি বাড়ায়।
অস্টিওপোরোসিসের প্রায়শই কোনো লক্ষণ থাকে না যতক্ষণ না ফ্র্যাকচার ঘটে। ফ্র্যাকচারের সাধারণ স্থানগুলির মধ্যে রয়েছে মেরুদণ্ড, কুঁচকি এবং হাতের বাহু।
অস্টিওপোরোসিস রোধ করতে সাহায্য করার জন্য আপনি অনেক কিছু করতে পারেন, এর মধ্যে রয়েছে :
- পর্যাপ্ত ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন ডি পাওয়া।
- নিয়মিত ব্যায়াম করা।
- ধূমপান ত্যাগ করা।
- অ্যালকোহল পান সীমিত করা।
আপনার যদি অস্টিওপোরোসিসের ঝুঁকি থাকে তবে আপনার ডাক্তারের সাথে কথা বলা গুরুত্বপূর্ণ। তারা আপনার ঝুঁকি কমাতে এবং ফ্র্যাকচার রোধ করতে সাহায্য করার জন্য ওষুধ বা অন্যান্য চিকিত্সার সুপারিশ করতে পারে।
হাড় ক্ষয় রোধে খাদ্যের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।
ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার :
- দুগ্ধজাত খাবার:দুধ, দই, পনির, মাখন
- সবুজ শাকসবজি:পালং শাক, লাউ শাক, মেথি শাক, ব্রকলি
- কাঁটাযুক্ত মাছ:রুই, কাতলা, মৃগেল
- বাদাম ও বীজ:কাজু, চিনাবাদাম, তিল, সূর্যমুখী বীজ
- ক্যালসিয়ামযুক্ত খাবার:সয়া দুধ, টোফু, ডাল
ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার :
- সূর্যের আলো:সকালের রোদে কিছুক্ষণ হাঁটা
- ডিমের কুসুম:ভিটামিন ডি-এর ভালো উৎস
- মাছ:চর্বিযুক্ত মাছ যেমন স্যামন, টুনা, ম্যাকরেল
- কুঁড়িযুক্ত মাশরুম:ভিটামিন ডি-এর উদ্ভিদ উৎস
অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ খাবার :
- ফলমূল: কমলালেবু, আঙ্গুর, আনারস, আপেল
- পানি: পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করা হাড়ের জন্য জরুরি
কিছু টিপস :
- নিয়মিত ব্যায়াম: হাড়ের ঘনত্ব বৃদ্ধি করে
- ধূমপান,অ্যালকোহল: হাড়ের ক্ষয়ের ঝুঁকি বাড়ায়
- ওজন নিয়ন্ত্রণ: অতিরিক্ত ওজন হাড়ের উপর চাপ সৃষ্টি করে
খাদ্যতালিকা ছাড়াও নিয়মিত ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিত।
মনে রাখবেন, সুস্থ ও সক্রিয় জীবনযাপনের মাধ্যমে হাড় ক্ষয় রোধ করা সম্ভব।
আরও পড়ুন: ত্রিপুরা শান্তিনিকেতন মেডিকেল কলেজ | উত্তর পূর্ব ভারতের উন্নয়নের দিকে এক ধাপ